প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠল টাইগাররা। জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটে নেমে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ১২৪ রানে। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
২৮ বল বাকি রেখেই জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি অভিষেকে তিন দফায় জীবন পেয়ে ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ হাসান।
ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১ উইকেটে ৩৬ থেকে জিম্বাবুয়ের রান হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৪১।
অষ্টম উইকেটে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ের খাতায় ৭৫ রান যোগ করেন ক্লাইভ মাডান্ডে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
৩৯ বলে ৪৩ রান করা মাডান্ডেকে দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করেন তাসকিন। দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। তৃতীয় ওভারের পর বৃষ্টি নেমে খেলা বন্ধ থাকে আধা ঘণ্টা।
খেলা শুরুর পর চতুর্থ ওভারে মুজারাবানির বলে দুই দফায় সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান চার রানে থাকে তানজিদ। এই পেসারের পরের ওভারেই একটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান। অষ্টম ওভারে আরেক দফা বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে খেলা।
পরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ২৪ বলে ২১ রান করে। তানজিদ ফিফটিতে পা রাখেন ৩৬ বলে। ৫৬ রানে আবার জীবন পান তিনি। তার সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের জুটিতে শেষ হয় ম্যাচ।
৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে ফিফটি করতে পেরেছেন কেবল আরেক বাঁহাতি ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ করেছিলেন তিনি।
হৃদয় অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩৩ রান করে।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে আগামী রবিবার; মাঠ এই চট্টগ্রামই।