আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার বিরোধী সব আন্দোলনে ব্যর্থতার পর কোটা ও শিক্ষক আন্দোলনের ওপর ভর করছে পরজীবী দল বিএনপি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলন গতবার ছিল, এখনও রয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। কিন্তু পরের কাঁধে ভর দিয়ে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যায় না।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নেতাদের মুখের কোনও ট্যাক্স নাই, লাগাম নাই। গাড়ি চালক বেপরোয়া হলে যে অবস্থা হয়, রাজনীতিতে তারা হলো বেপরোয়া চালক। কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে কেউ জানে না। কে চালায় বিএনপি? লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে চালায়। সড়কপথে কিংবা নৌপথে নয়- আকাশপথে বিএনপি চলে।’
বিএনপির বড় নেতারা ভয়ে আছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতাদের দিনের আরাম আর রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন কার চাকরি নট হয়ে যায়, কখন যে তারেক রহমানের ডাক আসে। ফখরুল সাহেবেও শান্তিতে নাই।’
বিএনপির আন্দোলনের হাত ভেঙ্গে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দিন যায়, রাত যায়। আন্দোলন আর সফল হয় না। মরা গাঙ্গে জোয়ার আর আসে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) ভয় দেখায় বাংলাদেশ ভারত হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত গেলেই বলে- কিছুই আনতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫৩ বছরে বাংলাদেশ ভারত হয়নি। সীমান্ত ও ছিটমহল সমস্যা সমাধান হয়েছে। আমাদের হিস্যা আমরা বুঝেপেয়েছি। আর খালেদা জিয়া ৩ হাজার পিস জামদানি শাড়ি দিয়ে এসে জানায় গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গেছেন। কোন মুখে বিএনপি নেতারা এখন তিস্তার কথা বলেন?
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনার মতো এতো সৎ আর নির্ভিক নেতা এদেশে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার কাজ চলছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বৈরাচার, অন্যায় আর দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার। দূর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।