ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে আগ্রহী আইএমএফ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো এবং দামের সমন্বয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএমএফ) বাংলাদেশ সফররত প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে। এরপর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে এবং শেষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার সঙ্গে বৈঠকে বসে দলটি।

তবে বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুল রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বৈঠকের ফলাফল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করা সত্যিই কঠিন।’

আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল প্রকাশ করতে অন্যান্য কর্মকর্তারাও অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মূলত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের বিষয়টি আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।

আইএমএফ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার অনিষ্পন্ন বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই বকেয়া বিলগুলো পরিশোধের জন্য সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।

অর্থনীতি ও অন্যান্য খাতে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন পর্যালোচনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করছে।

এরইমধ্যে অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে পেট্রোলিয়াম জ্বালানিতে স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। এছাড়াও ভর্তুকি ও আর্থিক ক্ষতি কমাতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।

কিন্তু তারপরও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যয় এবং আয়ের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। ফলে এ খাতের আর্থিক ক্ষতি পোষাতে বড় ধরনের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, আইএমএফ লোকসান কমাতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারকে ক্রমাগত তাগাদা দিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের বেশ কয়েকটি কিস্তি পেয়েছে এবং এখন প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন ডলারের পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার আশা করছে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার চালাতে রাজি হওয়ার পরে ৪৭৬ মিলিয়ন ডলারের উদ্বোধনী কিস্তি দিয়েছিল আইএমএফ।

এরপর রাজস্ব এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উভয়ই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম থাকার পরও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৬৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিতীয় কিস্তি প্রদান করে আইএমএফ।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মাওলানা মামুনুল হক

যে বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে আগ্রহী আইএমএফ

আপডেট সময় : ০৪:০৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো এবং দামের সমন্বয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএমএফ) বাংলাদেশ সফররত প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে। এরপর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে এবং শেষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার সঙ্গে বৈঠকে বসে দলটি।

তবে বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুল রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বৈঠকের ফলাফল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করা সত্যিই কঠিন।’

আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল প্রকাশ করতে অন্যান্য কর্মকর্তারাও অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মূলত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের বিষয়টি আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।

আইএমএফ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার অনিষ্পন্ন বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই বকেয়া বিলগুলো পরিশোধের জন্য সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।

অর্থনীতি ও অন্যান্য খাতে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন পর্যালোচনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করছে।

এরইমধ্যে অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে পেট্রোলিয়াম জ্বালানিতে স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। এছাড়াও ভর্তুকি ও আর্থিক ক্ষতি কমাতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।

কিন্তু তারপরও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যয় এবং আয়ের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। ফলে এ খাতের আর্থিক ক্ষতি পোষাতে বড় ধরনের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, আইএমএফ লোকসান কমাতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারকে ক্রমাগত তাগাদা দিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের বেশ কয়েকটি কিস্তি পেয়েছে এবং এখন প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন ডলারের পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার আশা করছে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার চালাতে রাজি হওয়ার পরে ৪৭৬ মিলিয়ন ডলারের উদ্বোধনী কিস্তি দিয়েছিল আইএমএফ।

এরপর রাজস্ব এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উভয়ই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম থাকার পরও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৬৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিতীয় কিস্তি প্রদান করে আইএমএফ।