প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণিসহ ক্রিকেটের বিভিন্ন স্তরে খেলছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অলক কাপালি। ২০১১ সালে ছাড়েন জাতীয় দল, এরপর ২০২২ সালে ছাড়েন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। এতো দিন সাদা বলের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সিলেট লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেললেও গত বিপিএলে দল পাননি। তাই এবার ভাবছেন খেলা ছাড়ার কথাই।
ঢাকা লিগের চলমান খেলায় প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৭ ম্যাচ খেলে ৫ ইনিংসে রান করেছেন ১১৬, উইকেট ৬টি। বয়স ৪০ পেরোলেও এখনও পুরোদমে ফিল্ডিং করেন। অলক কাপালি বলেন, ‘‘এবার ভালো লাগছে প্রিমিয়ার লিগ খেলে। প্রথমে সুযোগ পাব বলে মনে হয়নি। জাতীয় দলের অনেকেই ছিল আমাদের দলে। চোটের কারণে সুযোগ হয়েছে। আমি এখনো চেষ্টা করি পুরো ৫০ ওভার ফিল্ডিং করতে। অনেকে ২-৪ ওভার খেলে মাঠের বাইরে চলে যায়। কিন্তু আমি ম্যাচ খেললে পুরোপুরিই খেলতে চাই।’’
খেলা ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় তো ছাড়তেই হবে। তবে ছাড়তেও খারাপ লাগে। এই বছরই ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এখনো বুঝতে পারছি না, কী করব। লিগে আরও কিছু ম্যাচ বাকি আছে। ম্যানেজমেন্ট, কোচ সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করব। এত দিন ক্রিকেট খেলছি, এখন খেলা ছেড়ে দেব…কেমন জানি লাগছে।’’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছাড়ার পরের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে অলক কাপালি বলেন, ‘‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছেড়েছিলাম একটা নির্দিষ্ট কারণে। তখন বেশ কয়েকজন নতুন ক্রিকেটার এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম সরে গেলে সিলেট দলে ওদের জায়গা হবে, ওরা ওপরে উঠে আসবে। পরে দেখা গেল, যাদের কথা ভেবে ছেড়েছিলাম আমি যাওয়ার পর তারা সুযোগ পায়নি।’’
তিনি বলেন, ‘‘এখন যদি সাদা বল ছেড়ে দিই, কোন জায়গায় যাব, কী করব, এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আমার ইচ্ছা ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার। সেটা ক্রিকেট বোর্ডে হতে পারে, কোচিংয়ে হতে পারে। যদি ক্রিকেট বোর্ড থেকে ভালো প্রস্তাব আছে, ওটা ভেবে দেখব। আর যদি তা না হয়, তাহলে কোচিংয়ের সুযোগ খুঁজব। অনেক একাডেমি আছে, ক্লাব ক্রিকেট আছে। ওই প্রস্তাবও আছে আমার।’’
খেলতে গিয়ে তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির কথা উল্লেখ করে অলক কাপালি বলেন, ‘‘যখন যেখানে খেলি, সেখানেই আমি নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি। ওরা আমার কথা ভালোভাবে নেয়। খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক বড় বড় খেলোয়াড়কে দেখেছি; শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে খেলেছি। জন্টি রোডস, শেন ওয়ার্নের সঙ্গে কথা বলেছি। ওই অভিজ্ঞতাগুলোই ভাগাভাগি করি সবার সঙ্গে।’’