ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

 

সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংক লুটের পর বান্দরবানে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে এসব ঘটনায় জড়িত কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টায় বান্দরবানের রুমায় যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, বান্দরবান এক সময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল, কিন্তু সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতির মতো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর আগেও এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। এদের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কিনা তা বের করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ডাকাতির মতো ঘটনায় কোনো সংস্থার দায়িত্ব পালনে কোনো ঘাটতি ও গাফিলতি ছিল কি-না সেটিও খতিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবানের রুমায় পৌছানোর পর প্রথমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন স্থাপনা, আনসার ব্যারাক, সোনালী ব্যাংক ও মসজিদ পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়। তারা ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা রক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করে। টাকার পাশাপাশি পুলিশের অস্ত্রও লুট করে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীন তখন রামু উপজেলা পরিষদ এলাকায় মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে তাকে অপহরণ করে।

পরদিন দুপুরে রুমা থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলা সদরে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে তিনটি গাড়িতে আসা একদল সশস্ত্র লোক।

এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি হয়। গোলাগুলির খবর পাওয়া যায় আলীকদমেও।

এ নিয়ে ওই এলাকার মানুষের ভয় আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব ঘটনায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব। আর শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর বান্দরবান সফরের কথা বলা হয়।

 

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দর বিশ্ব গড়তে তারুণ্যে বিনিয়োগ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি ড. ইউনূস

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ১০:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

 

সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংক লুটের পর বান্দরবানে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে এসব ঘটনায় জড়িত কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টায় বান্দরবানের রুমায় যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, বান্দরবান এক সময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল, কিন্তু সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতির মতো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর আগেও এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। এদের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কিনা তা বের করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ডাকাতির মতো ঘটনায় কোনো সংস্থার দায়িত্ব পালনে কোনো ঘাটতি ও গাফিলতি ছিল কি-না সেটিও খতিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবানের রুমায় পৌছানোর পর প্রথমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন স্থাপনা, আনসার ব্যারাক, সোনালী ব্যাংক ও মসজিদ পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়। তারা ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা রক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করে। টাকার পাশাপাশি পুলিশের অস্ত্রও লুট করে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীন তখন রামু উপজেলা পরিষদ এলাকায় মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে তাকে অপহরণ করে।

পরদিন দুপুরে রুমা থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলা সদরে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে তিনটি গাড়িতে আসা একদল সশস্ত্র লোক।

এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি হয়। গোলাগুলির খবর পাওয়া যায় আলীকদমেও।

এ নিয়ে ওই এলাকার মানুষের ভয় আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব ঘটনায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব। আর শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর বান্দরবান সফরের কথা বলা হয়।