ভারতের জাতীয় নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সরকার ভোটে কারচুপি ও অর্থ লোপাটের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তাদের।
কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী নয়াদিল্লির একটি সমাবেশে বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি এই নির্বাচনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করছেন।’’
মোদির কট্টর সমালোচক দুর্নীতিবিরোধী হিসেবে পরিচিত বিরোধী রাজনৈতিক জোট ইন্ডিয়া ব্লকের শীর্ষ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গত ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।
কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বলছে, ‘‘মামলাটি বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’
মোদির সরকার ও তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ অস্বীকার করে বলেছে, ‘‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের কাজ করছে।’’
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সময় ভারত শাসন করলেও এক দশক আগে মোদির জয়ের পর থেকে সংগ্রাম করা দলের নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘যদি বিজেপি এই ম্যাচ ফিক্সিং নির্বাচনে জয়লাভ করে ও সংবিধান পরিবর্তন করে, তবে এটি দেশকে অন্ধকারে নেবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘এটি সাধারণ নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দেশকে বাঁচাতে, আমাদের সংবিধান রক্ষার জন্য।’’
জনপ্রিয় রামলীলা ময়দানে গান্ধীর সাথে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার সময় আঞ্চলিক দলের প্রধানসহ বিরোধী নেতারা ছিলেন। তারা এরইমধ্যে কোন দল কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তা নিয়ে মতপার্থক্য কাটিয়ে উঠেছেন।
মোদি বলেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার লড়াই বিরোধীদের বিচলিত করেছে। এই নির্বাচনটি তার দল ও তার সহযোগীদের মধ্যে লড়াই যারা দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করতে চায়।
শনিবার জনবহুল উত্তর প্রদেশে তার নির্বাচনী প্রচারের এক সমাবেশে মোদি বলেন, ‘‘বড় দুর্নীতিবাজরা কারাগারে রয়েছে এবং এমনকি সুপ্রিম কোর্ট তাদের জামিন দিচ্ছে না।’’
সমালোচকরা বলছেন, মোদি ও তার দল রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করতে ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা হ্রাস করার জন্য তদন্তকারী সংস্থা ও কর কর্তৃপক্ষকে অস্ত্র করেছে। অভিযোগটি অস্বীকার করে বিজেপি।
কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতা বলেন, ‘‘এই ফ্যাসিবাদ ভারতে কাজ করবে না। আমরা লড়াই করব এবং আমরা জিতব।’’