দেশের বাজারে আরেক দফা কমেছে ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম। নতুন এ দাম কার্যকর হবে সোমবার থেকে। তবে জ্বালানির সঙ্গে সমন্বয় করে বাস ভাড়া কমবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে যাত্রীরা। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, এর আগে জ্বালানি তেলের দাম কমার কোন সুফল পায়নি ভোক্তা ও যাত্রীরা।
গত ৭ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে লিটারে ৭৫ পয়সা দাম কমে ডিজেল, কেরোসিনের। সেইসঙ্গে পেট্রলের লিটারে ৩ এবং অকটেনে চার টাকা কমানো হয়। রবিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এপ্রিল মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের ফলে আরেক দফা দাম কমে ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দর ১০৬ টাকা।
তবে জ্বালানির দাম কমলেও ভাড়া কমবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন গণপরিবহনের যাত্রীরা। এক যাত্রী বলেন, ‘যখন আমরা দেখি যে তেলের দাম বেড়ে গেছে তখন কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সকল রুটের বাস ভাড়া কম বেশি বাড়ানো হয়। আজকে যখন তেলের দাম কমেছে, আমরা সাধারণ যাত্রী হিসেবে কিন্তু জানি না যে এটা কমেছে। যেহতু ডিজেলের দাম কমেছে, এবার ভাড়াও কমানো হোক।’
২০২২ সালের আগস্টে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়লে, দুরপাল্লার ভাড়া বাড়ে কিলোমিটারে ৪০ পয়সা করে। কয়েকসপ্তাহ পর ডিজেলের দাম ৫ টাকা কমে ১০৯ টাকা হলে ভাড়া ৫ পয়সা করে কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। যদিও, সে সুবিধা পাননি যাত্রীরা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘আগেরবার জ্বালানির দাম কমানোর পর ভাড়া যেটা কমানো হয়েছে সেটা কোনো বাসেই কার্যকর হয়নি। সামনে ঈদ, একদিকে জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে অন্য দিকে ভাড়া নৈরাজ্য চলছে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনলালয় এবার অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে। প্রতিলিটার বিক্রি হবে যথাক্রমে ১২৬ টাকা ও ১২২ টাকায়।