কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাদীর নারাজি আবেদন নাকচ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলী এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন আনভীরের বাবা আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা, শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।
২০২১ সালে ২৬ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মোশারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মুনিয়া ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লার মনোহরপুরে; পরিবার সেখানেই থাকে। মৃত্যুর মাস দুয়েক আগে এক লাখ টাকায় ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি।
সেই রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। এরপর আনভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলাটি দায়ের করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
২০২২ সালে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। পরে এ প্রতিবেদনে নারাজি দাখিল করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান। গত ১০ মার্চ নারাজির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেন।