ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনভর সাকিবের ‘কিংস পার্টি’তে যোগদান নিয়ে আলোচনা, যা বললেন অলরাউন্ডার

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ফের রাজনীতিতে আলোচনায় ‘কিংসপার্টি’। নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ‘কিংস পার্টি’ করতে চেয়েছিলেন-এমন খবর সামনে আসতেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তোরজোড়। মূলত দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনের পর জাতীয় নির্বাচনের দুই মাসেরও বেশি সময় পর বিষয় আলোচনায় এলো।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও নতুন এই দল গঠনে নেপথ্যের ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। বহুল আলোচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করিয়েছেন তিনি। এমনকি দলের নামটিও তার দেয়া বলে দাবি করেছেন এর নেতারা। শুধু তাই নয়, নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি প্রকাশ করে সমকাল। দলটির তৎকালীন সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) কামরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে সাকিব আল হাসান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

এ বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন আমাকে অনুরোধ করেন তৃণমূল এবং বিএনএম দুইটি দলের একটির চেয়ারম্যান হতে। আমি কিছুদিন চিন্তাভাবনা করে জানিয়ে দিয়েছি আমি বিএনপিতেই থাকবো। এটা থেকেই সে (সাকিব) আসছিল একসময়, একটি দলে যোগদান করতে। যেহেতু আমি আর আগ্রহ দেখায়নি সেহেতু সেও আর আগ্রহ দেখায়নি।

এ বিষয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এইসব নিউজ পুরনো জিনিস নিয়ে কে আছে? মন চাইলে করেন (নিউজ), না চাইলে না করেন। এদিকে মেজর হাফিজ ও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াটি সরকারের একটি ব্যর্থ প্রকল্পে বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দর বিশ্ব গড়তে তারুণ্যে বিনিয়োগ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি ড. ইউনূস

দিনভর সাকিবের ‘কিংস পার্টি’তে যোগদান নিয়ে আলোচনা, যা বললেন অলরাউন্ডার

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

ফের রাজনীতিতে আলোচনায় ‘কিংসপার্টি’। নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ‘কিংস পার্টি’ করতে চেয়েছিলেন-এমন খবর সামনে আসতেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তোরজোড়। মূলত দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনের পর জাতীয় নির্বাচনের দুই মাসেরও বেশি সময় পর বিষয় আলোচনায় এলো।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও নতুন এই দল গঠনে নেপথ্যের ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। বহুল আলোচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করিয়েছেন তিনি। এমনকি দলের নামটিও তার দেয়া বলে দাবি করেছেন এর নেতারা। শুধু তাই নয়, নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি প্রকাশ করে সমকাল। দলটির তৎকালীন সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) কামরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে সাকিব আল হাসান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

এ বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন আমাকে অনুরোধ করেন তৃণমূল এবং বিএনএম দুইটি দলের একটির চেয়ারম্যান হতে। আমি কিছুদিন চিন্তাভাবনা করে জানিয়ে দিয়েছি আমি বিএনপিতেই থাকবো। এটা থেকেই সে (সাকিব) আসছিল একসময়, একটি দলে যোগদান করতে। যেহেতু আমি আর আগ্রহ দেখায়নি সেহেতু সেও আর আগ্রহ দেখায়নি।

এ বিষয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এইসব নিউজ পুরনো জিনিস নিয়ে কে আছে? মন চাইলে করেন (নিউজ), না চাইলে না করেন। এদিকে মেজর হাফিজ ও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াটি সরকারের একটি ব্যর্থ প্রকল্পে বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান।