ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয়বার তার দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে জেতানোর জন্য তিনি এই ধন্যবাদ জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে মোদি বলেছেন, টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য এনডিএ জোটের প্রতি জনগণের বিশ্বাস রয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
ভোট গণনায় দেখা যাচ্ছে এনডিএ জোট অর্ধেকের বেশি আসন পেতে যাচ্ছে। তারা প্রায় ২৯০টি আসনে জয়ী হবে। ইন্ডিয়া জোটের মাধ্যমে এবার বিরোধীরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় তাদের ফলাফল অনেক ইতিবাচক।
বারানসি থেকে দেড় লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হওয়া মোদি বলেছেন, আমি জনতা জনার্ধনকে এই ভালোবাসার জন্য প্রণাম জানাই। তাদের আশ্বস্ত করছি যে, আমরা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গত এক দশকের ভালো কাজ অব্যাহত রাখবে।
তিনি আরও বলেছেন, আমি আমাদের সব কর্মীকে তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এবার বারানসি থেকে দেড় লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন মোদি। কিন্তু ২০১৯ সালে এই আসন থেকে চার লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে উত্তর প্রদেশের ফলাফল বিস্ময় হয়ে দেখা দিয়েছে। রাজ্যটিতে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে। যদিও ভোট গণনার আগে ধারণা করা হয়েছিল, এখানে বিজেপি সহজ জয় পেতে যাচ্ছে।
নির্বাচনের প্রচারণায় বিজেপি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে নির্মাণের ঘটনাটিকে বড় করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। দলের সমর্থকদের ধারণা ছিল, এই সফলতা দেশজুড়ে নির্বাচনি সাফল্য পেতে ভূমিকা রাখবে।
তবে অযোধ্যায় যে স্থানে রাম মন্দির অবস্থিত সেই ফয়জাবাদে বিজেপি নয়, এগিয়ে রয়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি লাল্লু সিংয়ের থেকে থেকে এসপি প্রার্থী ৩৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কংগ্রেস।
সেখানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমাদের এবারের লড়াইটি ছিল (ভারতের) সংবিধান বাঁচানোর লড়াই।’
এই লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য ভারতের জনগণের পাশাপাশি জোট সঙ্গী এবং কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন গান্ধী।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালেই মঙ্গলবার হঠাৎ করেই ভারতের শেয়ার বাজারের সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে।
সেই প্রসঙ্গ টেনে গান্ধী বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই আদানির স্টক দেখেছেন। ভারতের মানুষ জানে যে, মোদির সাথে আদানির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক আসলে দুর্নীতির সম্পর্ক আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলে ভারতের জনগণ বলে দিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদি আমরা আপনাকে চাই না। (অমিত) শাহকে চাই না।’