দিন দিন তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
এদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীরা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।
জেলাটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র দাবদাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা ১৯ দিন (৬ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠা নামা করছিল।
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা উঠেছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা মো. আক্তার হোসেন জানান, কয়েকদিন বৃষ্টির পর আবার তাপমাত্রা বাড়ছে। আজ ভ্যাপসা গরমে ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গায় শহীদ চত্বর মোড় ঘুরে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মানুষের মুখে ক্লান্তির ছাপ। অনেকেই ক্লান্তি দূর করতে ভিড় জমাচ্ছে শরবতের দোকানে। এক গ্লাস শরবতে মিলছে ক্ষণিকের প্রশান্তি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত ৬ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস মধ্যে উঠানামা করছিল।
সবশেষ শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পর পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।