বিশ্বকাপের জন্য টাইগারদের স্কোয়াডে সবচেয়ে অভিজ্ঞ নাম সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুধু টাইগার শিবিরে কেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এ সংস্করণে সবচেয়ে অভিজ্ঞদের তালিকায় রয়েছেন এ দুজন।
এমন দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার দলে থাকায় তাই কিছুটা বাড়তি অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আবার আসন্ন বিশ্বকাপই এ দুজনের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না টাইগার অধিনায়ক। তাই বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর জন্য তা স্মরণীয় করে রাখতে চান শান্ত। এ জন্য দলের তরুণ খেলোয়াড়দের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮টি আসরের সবগুলো খেলেছেন সাকিব। এবার নবম আসর খেলতে দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন তিনি। সাকিব ছাড়া এখন পর্যন্ত হওয়া সবকটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া ক্রিকেটার আছেন কেবল রোহিত শর্মা। এদের পাশে আছেন মাহমুদউল্লাহও। ২০২২ বিশ্বকাপ ছাড়া ৭টি আসরেই অংশ নিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এই দুজনের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপের কথা উঠতেই শান্ত বললেন, ‘আমি জানি না এটা তাদের (মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব) শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে কি না, এটা কেবলই অনুমান।
‘তারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তরুণ ক্রিকেটার আমরা যারা আছি, তারা অবশ্যই চেষ্টা করব তাদের ভালো স্মৃতি উপহার দিতে। ভালো একটি বিশ্বকাপ শেষ করে আমরা তাদের উপহার দিলাম…. আমাদের (তরুণদের) জন্য এটি অবশ্যই দায়িত্ব।’
সাকিব-মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশা জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘আমরা সাকিব ভাই ও রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে বাড়তি কিছু চাই না। তারা যদি তাদের ভূমিকা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন, দল অবশ্যই সুবিধা পাবে। আমরা চাই, তারা তাদের অভিজ্ঞতা অন্য খেলোয়াড়দের মাঝে বিলিয়ে দিক, যেন দলের উন্নতি হয়।’
দলের ভারসাম্য রক্ষায় সাকিব এখনও মহাগুরুত্বপূর্ণ। ব্যাট হাতে সেরা সময় এখন আর না থাকলেও বল হাতে তাকে এখনও বলা যায় দেশের সেরা। মাহমুদউল্লাহও গত কয়েক মাসে নিজের ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত করেছেন দারুণভাবে। তাই শান্তর মতো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও বিশ্বকাপে তাদের দিকে অনেকটাই চেয়ে থাকবে।