ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেরদৌস-রিয়াজ-আরাফাতের চাঞ্চল্যকর চ্যাট ফাঁস

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

 

কোটা সংস্কারের দাবিতে গেল জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতার সরকার পতনের একদফা দাবিতে রূপ নেয়। উত্তাল হয়ে ওঠে সমগ্র বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঠিক সেসময় শেখ হাসিনার সরকার নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র ও পেশিশক্তি প্রয়োগ শুরু করে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আহত-নিহত হন আন্দোলনরত সাধারণ মানুষও।

রাজপথে যখন রাজনৈতিক (আওয়ামী লীগ) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দখলে তখন বসে ছিলেন না বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও। একদল শিল্পী ছাত্র-জনতার হয়ে সরব ছিলেন রাজপথে। কথা বলেছেন, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, আরেক দলের শিল্পীরা ছিলেন হাসিনা সরকারের পক্ষে। শিক্ষার্থীদের ওপর চলা হামলা, দমন-নিপীড়নও তাদের মনকে ন্যায়ের পথে ফেরাতে পারেনি। বরং ছাত্র-জনতার আন্দোলন কীভাবে দমানো যায়, সে বিষয়ে তারা ছিলেন তৎপর। খুলেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও।

সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

শিল্পীরা তাদের এই ‘আলো আসবেই’ নামক গ্রুপে আলোচনা করত কোথায়, কী করবেন! খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিল্পীদের এই গ্রুপে সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ছাড়াও আরও ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, তারিন জাহান, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেতা আজিজুল হাকিমসহ অনেকে।

সেই গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। যা নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে গেল ৪ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আগুনের তথ্য দিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি লিখেছিলেন, সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না ‘টোকাই জামাত-শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা’। উত্তরে অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, ‘গরম জল দিলেই হবে’। তানভীন সুইটি লিখেছিলেন, ‘কোনো ভাবেই পিছু হাঁটা চলবে না। আমরা কখন, কোথায়, কীভাবে একত্রিত হবো, সেটা আমরা সবাই মিলে ঠিক করে নেব।’

শিল্পীদের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হলে অভিনেত্রী সোহানা সাবা লেখেন, ‘অসভ্য!’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তারকা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রুপটি জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে খোলা হয়। আর গেল ৪ আগস্ট রাতে সেটি ডিলিট করা হয়। গ্রুপের অ্যাডমিন কে? সেটি না বললেও জানা যায়, গ্রুপটিতে সরব ছিলেন শোবিজের অনেক শিল্পী।

তিনি আরও বলেন, বিটিভিতে আগুন দেওয়ার পর যারা সেখানে গিয়ে আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলেন, তারা সবাই গ্রুপটিতে সক্রিয় ছিলেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সালথায় বিএনপির ব্যানারে আওয়ামী লীগ নেতাদের হিড়িক

ফেরদৌস-রিয়াজ-আরাফাতের চাঞ্চল্যকর চ্যাট ফাঁস

আপডেট সময় : ০১:০৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

কোটা সংস্কারের দাবিতে গেল জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতার সরকার পতনের একদফা দাবিতে রূপ নেয়। উত্তাল হয়ে ওঠে সমগ্র বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঠিক সেসময় শেখ হাসিনার সরকার নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র ও পেশিশক্তি প্রয়োগ শুরু করে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আহত-নিহত হন আন্দোলনরত সাধারণ মানুষও।

রাজপথে যখন রাজনৈতিক (আওয়ামী লীগ) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দখলে তখন বসে ছিলেন না বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও। একদল শিল্পী ছাত্র-জনতার হয়ে সরব ছিলেন রাজপথে। কথা বলেছেন, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, আরেক দলের শিল্পীরা ছিলেন হাসিনা সরকারের পক্ষে। শিক্ষার্থীদের ওপর চলা হামলা, দমন-নিপীড়নও তাদের মনকে ন্যায়ের পথে ফেরাতে পারেনি। বরং ছাত্র-জনতার আন্দোলন কীভাবে দমানো যায়, সে বিষয়ে তারা ছিলেন তৎপর। খুলেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও।

সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

শিল্পীরা তাদের এই ‘আলো আসবেই’ নামক গ্রুপে আলোচনা করত কোথায়, কী করবেন! খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিল্পীদের এই গ্রুপে সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ছাড়াও আরও ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, তারিন জাহান, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেতা আজিজুল হাকিমসহ অনেকে।

সেই গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। যা নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে গেল ৪ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আগুনের তথ্য দিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি লিখেছিলেন, সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না ‘টোকাই জামাত-শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা’। উত্তরে অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, ‘গরম জল দিলেই হবে’। তানভীন সুইটি লিখেছিলেন, ‘কোনো ভাবেই পিছু হাঁটা চলবে না। আমরা কখন, কোথায়, কীভাবে একত্রিত হবো, সেটা আমরা সবাই মিলে ঠিক করে নেব।’

শিল্পীদের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হলে অভিনেত্রী সোহানা সাবা লেখেন, ‘অসভ্য!’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তারকা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রুপটি জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে খোলা হয়। আর গেল ৪ আগস্ট রাতে সেটি ডিলিট করা হয়। গ্রুপের অ্যাডমিন কে? সেটি না বললেও জানা যায়, গ্রুপটিতে সরব ছিলেন শোবিজের অনেক শিল্পী।

তিনি আরও বলেন, বিটিভিতে আগুন দেওয়ার পর যারা সেখানে গিয়ে আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলেন, তারা সবাই গ্রুপটিতে সক্রিয় ছিলেন।