প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতদিন তিনি আইসিসির আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেলে ছিলেন। আইসিসির নির্বাচক কমিটির বার্ষিক মূল্যায়ন শেষে তার পদোন্নতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার পর এক বিবৃতিতে শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত বলেন, “আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া অনেক সম্মানের। নিজের দেশ থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্যানেলে জায়গা পাওয়া সত্যিই অনেক বিশেষ কিছু। বছরের পর বছর ধরে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামী অ্যাসাইনমেন্টগুলোর জন্য যে চ্যালেঞ্জ আছে, তার জন্য প্রস্তুত। আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। যেসব সহকর্মীরা আমার পাশে থেকতে আমার পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।”
গত বছরের শেষ দিকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন শরফুদ্দৌলা। টুর্নামেন্টে ৫টি ম্যাচে অন ফিল্ড দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ারও তিনি।
বাংলাদেশে যে কয়েকজন আম্পায়ারিং করে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ শরফুদ্দৌলা । ২০০৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক প্যানেলে থাকলেও ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক হয় তার।
শরফুদ্দৌলা এখন পর্যন্ত পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট, ৬৩টি ওয়ানডে, ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। নারীদের ক্রিকেটে ১৩টি ওয়ানডে ও ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেল অব আম্পায়ার
কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) এবং জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।