ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি নারায়ণগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানার আগুন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:১৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

 

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় গাজী টায়ার তৈরির কারখানায় লাগা আগুন ২০ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভিতরে শত শত কর্মী আটকে থাকতে পারে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার গাজীকে নারায়ণগঞ্জের আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর রূপগঞ্জের রূপসি এলাকায় শত শত মানুষ কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে মেশিনপত্র ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যেতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ভবনের নীচতলায় দূর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে আগুন ছয় তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এতে ভেতরে আটকে পড়া অনেকেই আর বের হতে পারেননি। তবে কারখানার ভেতরে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে। তারা জীবিত আছেন কিনা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।

তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ থাকা ১৬০ জনকে উদ্ধারের জন্য তালিকা করেছেন তাদের পরিবার।

ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ বলছেন, ভবনটির ভেতরে প্লাস্টিক, রাবার ও কেমিক্যালসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লাগছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা টিটিএল মেশিন দিয়ে ওপর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু ভবনটির ভেতরে দাহ্য পদার্থ মজুদ খাকায় এগুলো জ্বলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত নেভানো খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভবনের ভেতর থেকে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। তবে কি পরিমান মানুষ আটকা আছে সেটি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন গাজী টায়ার কারখানার ছয়তলা ভবনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশনের মোট ১২টি ইউনিট রবিবার রাত ১০টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। পরে টিটিএল মেশিন দিয়ে ওপর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি ও সাংবাদিকদেরও বিচার হবে

২০ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি নারায়ণগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানার আগুন

আপডেট সময় : ০১:১৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

 

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় গাজী টায়ার তৈরির কারখানায় লাগা আগুন ২০ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভিতরে শত শত কর্মী আটকে থাকতে পারে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার গাজীকে নারায়ণগঞ্জের আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর রূপগঞ্জের রূপসি এলাকায় শত শত মানুষ কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে মেশিনপত্র ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যেতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ভবনের নীচতলায় দূর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে আগুন ছয় তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এতে ভেতরে আটকে পড়া অনেকেই আর বের হতে পারেননি। তবে কারখানার ভেতরে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে। তারা জীবিত আছেন কিনা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।

তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ থাকা ১৬০ জনকে উদ্ধারের জন্য তালিকা করেছেন তাদের পরিবার।

ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ বলছেন, ভবনটির ভেতরে প্লাস্টিক, রাবার ও কেমিক্যালসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লাগছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা টিটিএল মেশিন দিয়ে ওপর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু ভবনটির ভেতরে দাহ্য পদার্থ মজুদ খাকায় এগুলো জ্বলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত নেভানো খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভবনের ভেতর থেকে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। তবে কি পরিমান মানুষ আটকা আছে সেটি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন গাজী টায়ার কারখানার ছয়তলা ভবনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশনের মোট ১২টি ইউনিট রবিবার রাত ১০টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। পরে টিটিএল মেশিন দিয়ে ওপর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়।