ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাপলা চত্বরে গণহত্যা, শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মতিঝিল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এনএসআই প্রধান জিয়াউল হাসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহবুব খন্দকার, তৎকালীন র‌্যাবপ্রধান একেএম শহিদুল হক, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিসি বিপ্লব কুমার, মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক, ফরমান আলী বিশ্বাস, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর ইকবাল, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার মনসুর আহমেদ, ইমরান, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ, মোহাম্মদ সাঈদ কমিশনার, আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডলি, মমতাজ পারভীন, আনিসুর রহমান সরকার, আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও শেখ শাহে আলম তালুকদার।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লগাররা ধর্মীয় অবমাননা ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি এবং বাজে মন্তব্য লেখালেখির প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানায়। সরকার দাবি না মানার কারণে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নেয়। আসামিরা যোগসাজশে ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদতে পুলিশ ও আর্মি সদস্যরা মিলে নিরীহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়।

হত্যার পর সরকারি সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে। ওই অভিযানে রাজনীতিকসহ নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জনকে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ করেন বাদী।

 

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি ও সাংবাদিকদেরও বিচার হবে

শাপলা চত্বরে গণহত্যা, শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ১২:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মতিঝিল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এনএসআই প্রধান জিয়াউল হাসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহবুব খন্দকার, তৎকালীন র‌্যাবপ্রধান একেএম শহিদুল হক, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিসি বিপ্লব কুমার, মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক, ফরমান আলী বিশ্বাস, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর ইকবাল, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার মনসুর আহমেদ, ইমরান, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ, মোহাম্মদ সাঈদ কমিশনার, আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডলি, মমতাজ পারভীন, আনিসুর রহমান সরকার, আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও শেখ শাহে আলম তালুকদার।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লগাররা ধর্মীয় অবমাননা ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি এবং বাজে মন্তব্য লেখালেখির প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানায়। সরকার দাবি না মানার কারণে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নেয়। আসামিরা যোগসাজশে ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদতে পুলিশ ও আর্মি সদস্যরা মিলে নিরীহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়।

হত্যার পর সরকারি সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে। ওই অভিযানে রাজনীতিকসহ নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জনকে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ করেন বাদী।