ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিগগিরই আবার যুগপৎ আন্দোলন করবে বিএনপি : ফখরুল

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

 

‘দখলদার’ আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি শিগগিরই আরেক দফা যুগপৎ আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী, দানবীয় ও দখলদার সরকারকে অপসারণ করতে আমরা যারা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি তারা একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি গ্রহণ করব যাতে শিগগিরই একটি গণমুখী ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়। আশা করছি আমরা সফল হব।’

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্রের স্বার্থে সব বিরোধী গণতান্ত্রিক দল একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হবে না। আমরা অবশ্যই বিজয়ী হব।’

গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।’

ফখরুল বলেন, গণদাবি মেনে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সরকার এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।’

গণতন্ত্রের অভাবে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে রেখে বাংলাদেশ সবচেয়ে সংকটময় সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

এই অবস্থায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিঃশর্তে কারাগার থেকে মুক্ত করতে এখন জোর আন্দোলন অপরিহার্য বলে মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এই দুটো বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ উল্লেখ করে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এরইমধ্যে রাজধানীতে সমাবেশসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা তার মুক্তির জন্য বিশেষভাবে এসব কর্মসূচি দিয়েছি। কারণ, খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক। আমরা গণতন্ত্র রক্ষা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেছি।’

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি ও সাংবাদিকদেরও বিচার হবে

শিগগিরই আবার যুগপৎ আন্দোলন করবে বিএনপি : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৪:৩০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

 

‘দখলদার’ আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি শিগগিরই আরেক দফা যুগপৎ আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী, দানবীয় ও দখলদার সরকারকে অপসারণ করতে আমরা যারা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি তারা একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি গ্রহণ করব যাতে শিগগিরই একটি গণমুখী ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়। আশা করছি আমরা সফল হব।’

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্রের স্বার্থে সব বিরোধী গণতান্ত্রিক দল একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হবে না। আমরা অবশ্যই বিজয়ী হব।’

গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।’

ফখরুল বলেন, গণদাবি মেনে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সরকার এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।’

গণতন্ত্রের অভাবে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে রেখে বাংলাদেশ সবচেয়ে সংকটময় সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

এই অবস্থায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিঃশর্তে কারাগার থেকে মুক্ত করতে এখন জোর আন্দোলন অপরিহার্য বলে মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এই দুটো বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ উল্লেখ করে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এরইমধ্যে রাজধানীতে সমাবেশসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা তার মুক্তির জন্য বিশেষভাবে এসব কর্মসূচি দিয়েছি। কারণ, খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক। আমরা গণতন্ত্র রক্ষা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেছি।’