যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হেরে আগে থেকেই বিপাকে রয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামছে তারা। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে ভারতবধের বিকল্প নেই পাকিস্তানের সামনে।
তবে বাবর আজমদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের বোলিং ব্যাটিং সব বিভাগের দারুণ ফর্ম। সেইসঙ্গে নাসাউ কাউন্টির পিচ পাকিস্তানের জন্য গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে।
চলমান টুর্নামেন্টের গত কয়েক ম্যাচেই দেখা গেছে, এই স্টেডিয়ামে খেলা প্রত্যেকটি দলের ব্যাটাররা কী পরিমাণ ভুগেছেন। প্রমাণিত ব্যাটাররাও খুব বেশি সুবিধা আদায় করতে পারছেন না। অনেকে ক্রিজেই থাকতে পারছেন না বেশিক্ষণ। আবার উইকেটে টিকে থাকতে হলে লড়াই করতে দেখা গেছে অনেককে। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়ানডে কিংবা টেস্টের মতো স্ট্রাইক রেটে রান তুলছেন ব্যাটাররা।
এক্ষেত্রে বাবর আজমের ভাবনা বাড়াবে পাকিস্তানি ব্যাটারদের সাম্প্রতিক ফর্ম। সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে পাকিস্তান। এছাড়া তুলনামূলক কম শক্তিসম্পন্ন নিউজিল্যান্ড দল, আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে বাবর অ্যান্ড কোং। তবে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হেরে তাদের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসের বেলুন চুপসে যাওয়ার কথা।
এই অবস্থায় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজদের মোকাবিলা করতে পাকিস্তানি ব্যাটারদের কতটা বেগ পেতে হবে, তা সহজেই অনুমেয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নাসাউ কাউন্টির পিচ।
মাত্র ১২ রান করতে গিয়ে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কাছে কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিকস, এইডেন মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনকে একে একে উইকেট বিলিয়ে দিতে দেখেছে সবাই।
এমন পিচে বুমরাহদের বোলিং তোপ সামলানো কতটা কঠিন হবে, তা প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে নিদারুণ ভোগা শ্রীলঙ্কা কিংবা নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররাই রিজওয়ান-ফখর জামানদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
তবে এর মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের কাছ থেকে আশার আলোও অবশ্য পাওয়া যায়। উল্লিখিত দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে জিতলেও বেশ ভুগতে হয়েছে তাদেরও। কিন্তু শুরুতে কিংবা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মানসিকতা শক্ত রেখে দুই ম্যাচেই উতরে গেছে প্রোটিয়ারা।
পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টও নিশ্চয় এ বিষয়ে খেলোয়াড়দের যথেষ্ট যত্ন নিয়েছে। তবে আসল পরীক্ষাটা মাঠেই হবে।
আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে যদি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা রাখতে পারেন বাবর-উসমানরা, তাহলে শুরুতে ব্যাট করে ভারতের সামনে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হবেন তারা। আর বাকি কাজটুকু করার জন্য তাদের ঝুলিতে শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমিররা তো রয়েছেনই।
আবার ভারত শুরুতে ব্যাট করলে সেক্ষেত্রেও পিচের সুবিধা নিয়ে রোহিত-কোহলিদের যতটা সম্ভব কম রানে আটকে রখার চেষ্টা করতে হবে পাকিস্তানি বোলারদের। আর ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলে ভারত-পাহাড় অতিক্রমের চেষ্টায় থাকতে হবে ব্যাটারদের।