ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না আয়ারল্যান্ড

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

 

প্রথমে বোলিং করে স্বল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এর ফলে পুরো ম্যাচজুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো সুযোগই পেল না আয়ারল্যান্ড। ম্যাচটি ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে নিজেদের করে নিল রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২.২ ওভারেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।

অপরিচিত পিচ ও কন্ডিশনে কেমন ব্যাটিং হবে, সেই অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচে টস জেতে ভারত। অনিশ্চয়তা থেকেই শুরুতে ফিল্ডিং করে রোহিত শর্মার দল। তবে ভারতীয় বোলারদের তাণ্ডবে ম্যাচটি একেবারে একপেশে হয়ে যায়।

আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ৯৭ রানের লক্ষ্য মোকাবিলায় মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত। ১২.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন ঋষভ পান্ত ও শিবম দুবে।

দলের হয়ে রোহিত সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। আর ঋষভের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। রোহিত তিনটি ছক্কা ও চারটি চার মারেন। অন্য পাশ থেকে ঋষভ মারেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কা।

আইরিশ বোলারদের প্রাপ্তি বলতে মার্ক অ্যাডায়ার ও বেঞ্জামিন হোয়াইটের উইকেট দুটি।

৯৬ রান রক্ষার লক্ষ্যে মাঠে নেমে প্রথম ওভারেই রোহিতকে জীবন দেন আয়ারল্যান্ডের বালবির্নি। মার্ক অ্যাডায়ারের ওভারের শেষ বলে ব্যাট চালালে সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা বালবির্নির কাছে ক্যাচ যায়। তবে গতির কারণে তিনি বলে স্পর্শই করতে পারেননি।

তবে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পান অ্যাডায়ার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম চারটি বল ডট হলে চতুর্থ বলে সজোরে ব্যাট চালান কোহলি। তবে বলটি হঠাৎ লাফিয়ে ওঠায় বল-ব্যাটে ঠিকমতো সংযোগ করতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা হোয়াইটের হাতের ওপর গিয়ে পড়ে বল। ফলে ৫ বলে ১ রান করে ফিরতে হয় কোহলিকে।

এরপর দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা ঋষভ পান্তকে নিয়ে দেখশুনে খেলতে থাকেন রোহিত। এই ‍দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় এক পর্যায়ে দলীয় স্কোর ৫০ পার করে ভারত। এরপর হাত খোলা শুরু করেন হিটম্যান রোহিত।

তবে একেবারে শেষের দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন রোহিত। দলের তখন প্রয়োজন আর ২১ রান। এরপর সূর্যকুমার যাদব ক্রিজে এসে চার বলে ২ রান করে আউট হন। পরে শিবম দুবে মাঠে নামলেও দুই বল মোকাবিলা করে রান করতে পারেননি তিনি। অন্যপাশ থেকে আর উইকেটের পতন চাননি ঋষভও। নিজেই বাকি কাজটুকু সারেন তিনি।

অসাধারণ বোলিং পারফর্ম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে জসপ্রীত বুমরাহর হাতে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

২ দিনে সারাদেশে ২৫টি স্থানে সহিংসতায় আগুনের ঘটনা

ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না আয়ারল্যান্ড

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

 

প্রথমে বোলিং করে স্বল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এর ফলে পুরো ম্যাচজুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো সুযোগই পেল না আয়ারল্যান্ড। ম্যাচটি ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে নিজেদের করে নিল রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২.২ ওভারেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।

অপরিচিত পিচ ও কন্ডিশনে কেমন ব্যাটিং হবে, সেই অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচে টস জেতে ভারত। অনিশ্চয়তা থেকেই শুরুতে ফিল্ডিং করে রোহিত শর্মার দল। তবে ভারতীয় বোলারদের তাণ্ডবে ম্যাচটি একেবারে একপেশে হয়ে যায়।

আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ৯৭ রানের লক্ষ্য মোকাবিলায় মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত। ১২.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন ঋষভ পান্ত ও শিবম দুবে।

দলের হয়ে রোহিত সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। আর ঋষভের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। রোহিত তিনটি ছক্কা ও চারটি চার মারেন। অন্য পাশ থেকে ঋষভ মারেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কা।

আইরিশ বোলারদের প্রাপ্তি বলতে মার্ক অ্যাডায়ার ও বেঞ্জামিন হোয়াইটের উইকেট দুটি।

৯৬ রান রক্ষার লক্ষ্যে মাঠে নেমে প্রথম ওভারেই রোহিতকে জীবন দেন আয়ারল্যান্ডের বালবির্নি। মার্ক অ্যাডায়ারের ওভারের শেষ বলে ব্যাট চালালে সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা বালবির্নির কাছে ক্যাচ যায়। তবে গতির কারণে তিনি বলে স্পর্শই করতে পারেননি।

তবে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পান অ্যাডায়ার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম চারটি বল ডট হলে চতুর্থ বলে সজোরে ব্যাট চালান কোহলি। তবে বলটি হঠাৎ লাফিয়ে ওঠায় বল-ব্যাটে ঠিকমতো সংযোগ করতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা হোয়াইটের হাতের ওপর গিয়ে পড়ে বল। ফলে ৫ বলে ১ রান করে ফিরতে হয় কোহলিকে।

এরপর দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা ঋষভ পান্তকে নিয়ে দেখশুনে খেলতে থাকেন রোহিত। এই ‍দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় এক পর্যায়ে দলীয় স্কোর ৫০ পার করে ভারত। এরপর হাত খোলা শুরু করেন হিটম্যান রোহিত।

তবে একেবারে শেষের দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন রোহিত। দলের তখন প্রয়োজন আর ২১ রান। এরপর সূর্যকুমার যাদব ক্রিজে এসে চার বলে ২ রান করে আউট হন। পরে শিবম দুবে মাঠে নামলেও দুই বল মোকাবিলা করে রান করতে পারেননি তিনি। অন্যপাশ থেকে আর উইকেটের পতন চাননি ঋষভও। নিজেই বাকি কাজটুকু সারেন তিনি।

অসাধারণ বোলিং পারফর্ম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে জসপ্রীত বুমরাহর হাতে।