বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে কোনো আদালত বা দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে কোনো বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।’
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ফেরার পর সোমবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত ৪ মে রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক এই পুলিশ প্রধান ৬ জুন দুদকে হাজির হন কিনা তা দেখার বিষয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৬ জুন বেনজীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
এছাড়া ৯ জুন তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে কমিশন।
গত ২৩ এপ্রিল বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এরপর বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে লেনদেনের তথ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন।
এর আগে গত ২৩ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা জমি এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে তাদের নামে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার আদালত কয়েক কোটি টাকা মূল্যের আরও বেশ কয়েকটি স্থাবর সম্পত্তি এবং ১১৯টি নথিতে অতিরিক্ত অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয়।
পৃথক এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার স্বচ্ছভাবে দেশ পরিচালনা করে এবং দুদকের ওপর সরকারের কোনো প্রভাব নেই।‘দুদক স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে কাজ করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।