‘গোটা আরব ও মুসলিম বিশ্ব পটকা ফুটিয়ে রমজানকে স্বাগত জানাচ্ছে। আর আমরা রমজানকে বরণ করে নিচ্ছি মিসাইলের মাধ্যমে।’- এভাবেই মনের ব্যথা প্রকাশ করেছেন মসজিদের ধ্বংসাবশেষের ওপর রমজানের প্রথম তারাবির নামাজ আদায়কারী এক ফিলিস্তিনি। মুয়াজ রাফাত নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে পবিত্র রমজান মাসের আগমনেও গাজার কারো মুখে হাসি নেই। এমনকি এখানকার শিশুদের চেহারাও মলিন।
সোমবার আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজার অভ্যন্তরে এমন একটি জায়গা নেই, যেখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি ইসরাইলি সৈন্যরা। দখলদারদের হাত থেকে রেহাই পায়নি মসজিদ ও ইবাদতের স্থানগুলোও। এমনই একটি স্থান আল ফারুক ওমর মসজিদ। এটি রাফাহ শহরের শাবুরা শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত। এ মসজিদেই তারাবি আদায়ের পর আলজাজিরার কাছে মনের ব্যথাগুলো প্রকাশ করছিলেন মুয়াজ।
মসজিদটির আরেক মুসল্লির নাম ওমর ফাতহি। তিনি আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, খোলা আকাশের নিচে তারাবির নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তবে ইসরাইলি সৈন্যদের ধ্বংসযজ্ঞের পর তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে ও খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায়ের কারণে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ।
কিন্তু এসব পরিস্থিতিতেও গাজাবাসীকে নামাজ আদায় ও আল্লাহর নিদর্শন প্রদর্শনে বাধা দেয়া যায়নি বলে তিনি মনে করেন। তার মতে- এটি মজলুম এ জনগোষ্ঠীর ধারাবাহিক ধৈর্য ও অবিচলতার প্রমাণ।
তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমরা কিভাবে রমজান উদযাপন করব, অথচ আমাদের সামনে ৩০ হাজার শহীদের লাশ?’
আলজাজিরা জানিয়েছে, আল ফারুক ওমর মসজিদে অন্তত ২ হাজার মুসল্লি প্রথম তারাবির নামাজ আদায় করেছে। এই মসজিদটি ছাড়াও আরো কমপক্ষে ৫০১টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে ২১৭টি আর আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে ২৮৪টি মসজিদ।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির