দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার (২১ মে)। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা এ ভোটগ্রহণ চলবে। ১৫৬ উপজেলার মধ্যে ২৪টিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোতে সরাসরি ব্যালটে ভোট নেওয়া হবে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও রোববার রাতে আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে এই ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।
১৫৬ উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ১৩ হাজার ১৬টি। এরই মধ্যে রোববার (১৯ মে) মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচরণা। এদিকে দ্বিতীয় ধাপে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এরমধ্যে দুর্গম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিবেচনায় ৩০টি উপজেলার ৬৮৫ কেন্দ্রে সোমবারই ব্যালট পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলোতে মঙ্গলবার সকালে ব্যালট পৌঁছবে।
এফএইচ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। ভোটকে ঘিরে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য। সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ১৯ জনের ফোর্স। দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় এই সংখ্যা আরও বেশি। আর নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে থাকবেন, একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে থাকবেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। সোমবার থেকেই সংশ্লিষ্ট প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচদিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
নির্বাচন কমিশন ২ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন। ২ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা।
তবে এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আট জন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আট জন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন। আর ভোটে প্রচার-প্রচারণার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রায় ছয়শ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইসি।