ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

এবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। ১১ বছর পর এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন তিনি।

আজ রবিবার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্তান বাবর আলী পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্শ করেন। পেশায় ডাক্তার বাবর আলীর পরবর্তী লক্ষ্য পৃথিবীর চতুর্থ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট লোৎসে।

ডা. বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ের খবরে চট্টগ্রামে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি।

বাবরের সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের পক্ষ থেকে ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ায় প্রকৃতি মাতা বাবরকে ক্ষণিকের জন্য স্থান দিয়েছেন নিজের চূড়ায়। খানিক আগে বেসক্যাম্প ম্যানেজার এবং আউটফিট মালিক আমাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এখন বাবর আছে ক্যাম্প-৪ এ নামার পথে। ওই ডেথ জোনে যোগাযোগ সম্ভব নয়। তাই অভিযানের ছবি পেতে সময় লাগবে। আমরা ভীষণ আনন্দিত। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না আমাদের মূল লক্ষ্য কিন্তু শুধু এভারেস্ট নয়, লোৎসেও। তাই দোয়াতে থাকুক বাবর আলী।’

বেসক্যাম্প টিমের বরাতে অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নসারথি বাবর আলী আজ সকাল স্থানীয় সময় সাড়ে ৮টা এবং বাংলাদেশ সময় ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের উচ্চতম চূড়া ছুঁয়েছেন। ক্ষণিকের জন্য প্রকৃতি মাতা তাকে উচ্চতম চূড়ায় অবস্থান করার সুযোগ দিয়েছেন।’

ফরহান জামানের দেওয়া তথ্যমতে, এর আগে কোনো বাংলাদেশি লোৎসে পর্বতশৃঙ্গে সামিট করেননি। আবার একই অভিযানে কেউ দুটি ৮ হাজারের শৃঙ্গে চড়েননি। লক্ষ্য পূরণ হলে পর্বতারোহণে বাবর আলী বাংলাদেশের হয়ে ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবেন।

জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। সেখানে পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষে কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশে রওনা করেন। প্রায় এক সপ্তাহ ট্র্যাকিং শেষে পৌঁছান এভারেস্টের বেসক্যাম্পে। সেখান থেকেই শুরু করেন মূল অভিযান।

বাবর আলীর আগে ২০১৩ সালের ২০ মে এভারেস্ট জয় করেন মুন্সীগঞ্জের খালেদ হোসাইন (সজল খালেদ)। অর্থাৎ দীর্ঘ ১১ বছর বিরতির পর বাংলাদেশি হিসেবে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ জয় করলেন বাবর।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহীম। ২০১০ সালের ২৩ মে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। এরপর ২০১১ সালের ২১ মে মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, ২০১২ সালের ১৯ মে নিশাত মজুমদার, ২০১২ সালের ২৬ মে ওয়াসফিয়া নাজরীন এবং ২০ মে সজল খালেদ এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন। নিশাত মজুমদার প্রথম বাংলাদেশি নারী এভারেস্ট জয় করেন।

 

 

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দর বিশ্ব গড়তে তারুণ্যে বিনিয়োগ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি ড. ইউনূস

বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

এবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। ১১ বছর পর এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন তিনি।

আজ রবিবার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্তান বাবর আলী পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্শ করেন। পেশায় ডাক্তার বাবর আলীর পরবর্তী লক্ষ্য পৃথিবীর চতুর্থ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট লোৎসে।

ডা. বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ের খবরে চট্টগ্রামে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি।

বাবরের সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের পক্ষ থেকে ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ায় প্রকৃতি মাতা বাবরকে ক্ষণিকের জন্য স্থান দিয়েছেন নিজের চূড়ায়। খানিক আগে বেসক্যাম্প ম্যানেজার এবং আউটফিট মালিক আমাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এখন বাবর আছে ক্যাম্প-৪ এ নামার পথে। ওই ডেথ জোনে যোগাযোগ সম্ভব নয়। তাই অভিযানের ছবি পেতে সময় লাগবে। আমরা ভীষণ আনন্দিত। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না আমাদের মূল লক্ষ্য কিন্তু শুধু এভারেস্ট নয়, লোৎসেও। তাই দোয়াতে থাকুক বাবর আলী।’

বেসক্যাম্প টিমের বরাতে অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নসারথি বাবর আলী আজ সকাল স্থানীয় সময় সাড়ে ৮টা এবং বাংলাদেশ সময় ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের উচ্চতম চূড়া ছুঁয়েছেন। ক্ষণিকের জন্য প্রকৃতি মাতা তাকে উচ্চতম চূড়ায় অবস্থান করার সুযোগ দিয়েছেন।’

ফরহান জামানের দেওয়া তথ্যমতে, এর আগে কোনো বাংলাদেশি লোৎসে পর্বতশৃঙ্গে সামিট করেননি। আবার একই অভিযানে কেউ দুটি ৮ হাজারের শৃঙ্গে চড়েননি। লক্ষ্য পূরণ হলে পর্বতারোহণে বাবর আলী বাংলাদেশের হয়ে ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবেন।

জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। সেখানে পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষে কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশে রওনা করেন। প্রায় এক সপ্তাহ ট্র্যাকিং শেষে পৌঁছান এভারেস্টের বেসক্যাম্পে। সেখান থেকেই শুরু করেন মূল অভিযান।

বাবর আলীর আগে ২০১৩ সালের ২০ মে এভারেস্ট জয় করেন মুন্সীগঞ্জের খালেদ হোসাইন (সজল খালেদ)। অর্থাৎ দীর্ঘ ১১ বছর বিরতির পর বাংলাদেশি হিসেবে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ জয় করলেন বাবর।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহীম। ২০১০ সালের ২৩ মে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। এরপর ২০১১ সালের ২১ মে মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, ২০১২ সালের ১৯ মে নিশাত মজুমদার, ২০১২ সালের ২৬ মে ওয়াসফিয়া নাজরীন এবং ২০ মে সজল খালেদ এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন। নিশাত মজুমদার প্রথম বাংলাদেশি নারী এভারেস্ট জয় করেন।