রাজনৈতিক দলগুলোর পর এবার দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকদের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘যৌক্তিক’ মেয়াদের বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তবে সুনির্দিষ্ট কোনো মেয়াদের কথা তিনি উল্লেখ না করলেও সবার মতামত নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দ্য নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক এনাম আহমেদ এবং কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মাসহ আরও অনেকে।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা ও সম্পাদকদের মধ্যে আলোচনাটি পরবর্তীতে অন্যান্য উপদেষ্টাদেরও অবগত করা হবে।
আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা।
সম্পাদকদের কেউ কেউ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য যৌক্তিক মেয়াদ হিসেবে দুই বছরের কথা বলেছেন। আবার অনেকে বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগের ওপর ভিত্তি করে এর যৌক্তিক মেয়াদ নির্ধারণ করা উচিত।
বৈঠকে একজন সম্পাদক বলেন, ‘মেয়াদ দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে হওয়া উচিত।’
এছাড়াও সংবিধান পুনর্লিখন বা সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চান এবং একটি প্রাণবন্ত মিডিয়া জগত দেখতে চান।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি বড় সুযোগ এবং এই সুযোগের যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
বৈঠকে গণমাধ্যম কমিশন গঠনের প্রস্তাবও উত্থাপিত হয়।
বৈঠকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সম্পাদক অংশ নেন।