ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে ভয়াবহ বন‍্যায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

 

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী নদী বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি নদ-নদীতে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নদ-নদী ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত গ্রাম।

জেলা সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) নিয়মিত বুলেটিনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার জানায়, সাগরের লঘুচাপের প্রভাব ও ভারতের অতিবৃষ্টির ঢলে পানি বেড়েছে।

জেলার জুড়ী নদে বিপদসীমার প্রায় ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর, ধলাই নদে বিপদসীমার ৮ সেমি ও মনু নদীর চাঁদনীঘাটে ৭০ সেমি ও রেলওয়ে ব্রিজে ১০৫ সেমি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমা স্পর্শ করেছে। এদিকে তিন দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে হাওর ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়িঘর প্লাবিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ভয়ানকভাবে পানি বাড়ছে। নদ-নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা জিও ব্যাগ ফেলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। নদ-নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কুলাউড়া উপজেলা টিলাগাঁও এলাকায় মনু নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাজনগর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নদ-নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে কতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সালথায় বিএনপির ব্যানারে আওয়ামী লীগ নেতাদের হিড়িক

মৌলভীবাজারে ভয়াবহ বন‍্যায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

 

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী নদী বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি নদ-নদীতে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নদ-নদী ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত গ্রাম।

জেলা সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) নিয়মিত বুলেটিনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার জানায়, সাগরের লঘুচাপের প্রভাব ও ভারতের অতিবৃষ্টির ঢলে পানি বেড়েছে।

জেলার জুড়ী নদে বিপদসীমার প্রায় ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর, ধলাই নদে বিপদসীমার ৮ সেমি ও মনু নদীর চাঁদনীঘাটে ৭০ সেমি ও রেলওয়ে ব্রিজে ১০৫ সেমি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমা স্পর্শ করেছে। এদিকে তিন দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে হাওর ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়িঘর প্লাবিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ভয়ানকভাবে পানি বাড়ছে। নদ-নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা জিও ব্যাগ ফেলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। নদ-নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কুলাউড়া উপজেলা টিলাগাঁও এলাকায় মনু নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাজনগর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নদ-নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে কতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।