ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে অবজ্ঞা করে সংস্কার সম্ভব নয়, নিশ্চিত করতে হবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সেমিনারে বক্তারা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

গণমাধ্যমের নানা পরিস্থিতি, করণীয়সহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে ডিআরইউর সাগর-রুনী মিলনায়তনে সেমিনার হয় শনিবার বিকেলে।

আরিফুল সাজ্জাত ও আহমেদ ফয়েজসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী মিলে তৈরি করছেন নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম।আয়োজকরা জানান, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা কথা, আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। দিনে দিনে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে আস্থাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। সে জায়গা থেকে বের হতে এমন পদক্ষেপ। শুধু কথার কথা নয়-কাজ করে দেখানোর এখনই সময়।

মাঠে থাকা কর্মী, দায়িত্ব পালনে ব্যবহৃত ক্যামেরা, গাড়িসহ অন্য উপকরণ, পরিবহনে হামলার গণ্ডি ছাড়িয়েছে কার্যালয় পর্যন্ত। যা সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকি ও অবমাননাকর।
রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করে কিছু ব্যক্তি পুরো প্রতিষ্ঠানকে নিন্দনীয় জায়গায় নিয়ে গেছে। যা ক্ষমতাসীনদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছে তার দায়ভার নিতে হচ্ছে সকলকে।
সময় এসেছে এসব ধারা পরিবর্তনের।
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম, এটিকে অবজ্ঞা, উপেক্ষা, যাচ্ছেতাই ব্যবহার, হাতিয়ার হিসেবে পরিণত করার সংস্কৃতি শুধু পরিবর্তনই নয়, রুখে দিতে হবে এর কালোথাবাকেও।

বক্তারা বলেন, সংবাদ প্রকাশে সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সেন্সরশিপকে সাহসের সঙ্গে উপেক্ষা করতে হবে। নয়ত স্বাধীন সাংবাদিকতা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিগত দিনে সংগঠনের নামে দালালি ও গোলামী করার যে সংস্কৃতি দেখা গেছে, নতুন দিনে এটা আর হতে দেয়া যায় না।

সরকার উৎখাতের সময় গণহত্যা, পরবর্তীতে লুণ্ঠন, অরাজকতা, চক্রান্তসহ নেতিবাচক- ইতিবাচক সব ঘটনা নিরপেক্ষভাবে প্রচারে বাধা ছিল মন্তব্য করেন তারা।
ভবিষ্যতে কোনরকম অযৌক্তিক চাপের কাছে মাথানত না করার পরামর্শ দেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা, কর্মপন্থা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
তারা মনে করেন, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরিফুল সাজ্জাত, মাহবুব সৈকত, মিজানুর রহমান খবিরসহ বক্তারা তাদের অভিজ্ঞতার নানাদিকও তুলে ধরেন। প্রতিটি অফিসে এডমিনসহ তথাকথিত কর্তৃপক্ষের আচরণের প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়।
স্বাধীন ও অধিকারযুক্ত কর্মস্থল নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান তারা।
আত্মসমালোচনা করে নিজেদের ভুল সংশোধনের পরামর্শ দেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। গণমাধ্যম কখনও কারও লক্ষ্যবস্তুতে যাতে পরিণত না হয়, সেজন্য নিজস্ব শক্তি ও গুণাবলি বাড়ানোরও পরামর্শ তাদের।
আয়োজকরা জানান, কোন সংগঠনের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে নয় স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম নিয়েই এগিয়ে যাবে গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান টিভির বার্তাসম্পাদক মাহবুব জুয়েল, সময় টিভির বার্তাসম্পাদক জনি, দেবাশীষ রায়, ফারুক ভুঁইয়া রবিন, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের শামীমা সুলতানা, মাছরাঙা টিভির কাওসার সোহেলী, নিউজ টুয়েন্টিফোরের হাবিবুল ইসলাম, কালেরকণ্ঠের জুনাইদ হাবিব, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী এসো সচেতন হই-এসই’র চেয়ারম্যান মাজহার ইসলামসহ গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালমারীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে অবজ্ঞা করে সংস্কার সম্ভব নয়, নিশ্চিত করতে হবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সেমিনারে বক্তারা

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

গণমাধ্যমের নানা পরিস্থিতি, করণীয়সহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে ডিআরইউর সাগর-রুনী মিলনায়তনে সেমিনার হয় শনিবার বিকেলে।

আরিফুল সাজ্জাত ও আহমেদ ফয়েজসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী মিলে তৈরি করছেন নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম।আয়োজকরা জানান, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা কথা, আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। দিনে দিনে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে আস্থাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। সে জায়গা থেকে বের হতে এমন পদক্ষেপ। শুধু কথার কথা নয়-কাজ করে দেখানোর এখনই সময়।

মাঠে থাকা কর্মী, দায়িত্ব পালনে ব্যবহৃত ক্যামেরা, গাড়িসহ অন্য উপকরণ, পরিবহনে হামলার গণ্ডি ছাড়িয়েছে কার্যালয় পর্যন্ত। যা সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকি ও অবমাননাকর।
রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করে কিছু ব্যক্তি পুরো প্রতিষ্ঠানকে নিন্দনীয় জায়গায় নিয়ে গেছে। যা ক্ষমতাসীনদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছে তার দায়ভার নিতে হচ্ছে সকলকে।
সময় এসেছে এসব ধারা পরিবর্তনের।
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম, এটিকে অবজ্ঞা, উপেক্ষা, যাচ্ছেতাই ব্যবহার, হাতিয়ার হিসেবে পরিণত করার সংস্কৃতি শুধু পরিবর্তনই নয়, রুখে দিতে হবে এর কালোথাবাকেও।

বক্তারা বলেন, সংবাদ প্রকাশে সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সেন্সরশিপকে সাহসের সঙ্গে উপেক্ষা করতে হবে। নয়ত স্বাধীন সাংবাদিকতা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিগত দিনে সংগঠনের নামে দালালি ও গোলামী করার যে সংস্কৃতি দেখা গেছে, নতুন দিনে এটা আর হতে দেয়া যায় না।

সরকার উৎখাতের সময় গণহত্যা, পরবর্তীতে লুণ্ঠন, অরাজকতা, চক্রান্তসহ নেতিবাচক- ইতিবাচক সব ঘটনা নিরপেক্ষভাবে প্রচারে বাধা ছিল মন্তব্য করেন তারা।
ভবিষ্যতে কোনরকম অযৌক্তিক চাপের কাছে মাথানত না করার পরামর্শ দেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা, কর্মপন্থা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
তারা মনে করেন, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরিফুল সাজ্জাত, মাহবুব সৈকত, মিজানুর রহমান খবিরসহ বক্তারা তাদের অভিজ্ঞতার নানাদিকও তুলে ধরেন। প্রতিটি অফিসে এডমিনসহ তথাকথিত কর্তৃপক্ষের আচরণের প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়।
স্বাধীন ও অধিকারযুক্ত কর্মস্থল নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান তারা।
আত্মসমালোচনা করে নিজেদের ভুল সংশোধনের পরামর্শ দেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। গণমাধ্যম কখনও কারও লক্ষ্যবস্তুতে যাতে পরিণত না হয়, সেজন্য নিজস্ব শক্তি ও গুণাবলি বাড়ানোরও পরামর্শ তাদের।
আয়োজকরা জানান, কোন সংগঠনের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে নয় স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম নিয়েই এগিয়ে যাবে গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান টিভির বার্তাসম্পাদক মাহবুব জুয়েল, সময় টিভির বার্তাসম্পাদক জনি, দেবাশীষ রায়, ফারুক ভুঁইয়া রবিন, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের শামীমা সুলতানা, মাছরাঙা টিভির কাওসার সোহেলী, নিউজ টুয়েন্টিফোরের হাবিবুল ইসলাম, কালেরকণ্ঠের জুনাইদ হাবিব, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী এসো সচেতন হই-এসই’র চেয়ারম্যান মাজহার ইসলামসহ গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।