আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান ও মিসেস মাহমুদুর রহমানের বিরদ্ধে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দেওয়া ফরমায়েশী সাজা বাতিল করতে অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
আমার দেশ পত্রিকার প্রেস খুলে দেওয়াসহ পত্রিকা দ্রুত প্রকাশের সকল অন্তরায় দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে সংবাদকর্মীদের দীর্ঘ প্রায় একযুগ বেকার রাখা এবং পত্রিকার প্রেস জব্দ করে রেখে যন্ত্রপাতি বিনষ্ট ও লুটপাটের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতারা এসব দাবি জানান। সামাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ-এর নগর সম্পাদক এম. আবদুল্লাহ।
সমাবেশে বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে মহাসচিব ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজে সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, বর্তমান সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিএফইউজে’র সহসভাপতি এ কে এম মহসিন, সহকারি মহাসচিব বাছির জামাল, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান সাজু, সাংবাদিক সাখাওয়াত ইবনে মইন চৌধুরী, ইংরেজী দৈনিক ইকোনমিক এক্সপ্রেসের আমীর হোসেন জনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, দৈনিক আমার দেশ গণমানুষের কন্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল। মাহমুদুর রহমানের সাহসী নেতৃত্বে পত্রিকাটি যখন জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে উঠে তখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তা বন্ধ করে দেয়। মাহমুদুর রহমানকে বার বার গ্রেফতার, রিমান্ড, হামলা, মামলা করে তাঁর জীবনকে বিপন্ন করে তোলা হয়েছিল। মাহমুদুর রহমানের মত নির্ভিক সম্পাদক সমসাময়িককালে আর দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে জাহিদ হোসেন বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পালাতে বাধ্য হওয়া আওয়ামী সরকার আপনার বিরুদ্ধেও অনেক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আমরা পেশাজীবী ও সাংবাদিক সমাজ প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা আশা করি, মাহমুদুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা ও মামলা বাতিলে আপনি উদ্যোগ নেবেন। দৈনিক আমার দেশ প্রকাশের পথ সুগম করবেন।
অবিলম্বে সাজা বাতিল করে মাহমুদুর রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে রুহুল আমিন গাজী বলেন, মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশ পত্রিকার অপরাধ হচ্ছে তারা সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ জন্যে আওয়ামী স্বৈরসরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাকে।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের নির্মম শিকার। এমন জুলুম কোন সম্পাদক বা সাংবাদিকের ওপর হয়। তাঁকে হত্যা করার জন্যে বারবার হামলা করা হয়েছে। ১২৪টি মামলা দিয়ে আদালতে বারান্দায় ঘুরিয়েছে। বানোয়াট অভিযোগে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়ার পরও মাহমুদুর রহমান প্রতিকার না পাওয়া দুঃখজনক। তিনি অন্তর্বর্তীকালিন সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে মাহমুদুর রহমানের সাজা বাতিল, তাঁর স্ত্রীর সাজা বাতিল, মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং প্রেসের তালা খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
শিরোনাম :
সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সাজা বাতিল ও দৈনির আমার দেশ দ্রুত প্রকাশের দাবি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের
- বার্তা কক্ষ
- আপডেট সময় : ০১:০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
- ৫৯ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ