ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ এখন প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে সক্রিয় হওয়ায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তার মিত্ররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিজয়ী ছাত্রদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার নীলনকশা নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে বলে বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি।’
ফখরুল আরও বলেন, সকল জঘন্য অপরাধের জন্য অন্যায়ভাবে বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে দোষারোপ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, একটি চিহ্নিত মহল এই উদ্দেশ্য হাসিল করতে প্রতিবেশী দেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ চ্যানেলকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও সম্পদকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়েছে। তাদের বর্তমান পরিকল্পনা হলো বিভেদের বীজ বপন করা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়া। তারা সকল বিজয়ী শক্তি ও জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেও বদ্ধপরিকর।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন এবং সকল নাগরিক এসব বিষয়ে সজাগ থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বিএনপি ইতোমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
বিএনপির নামে কেউ এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক ও তার দোসরদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমি দেশি-বিদেশি সহায়ক শক্তির পাশাপাশি দেশবাসীকে সতর্ক করতে চাই।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে দেশের জনগণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।