বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ককে নেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে। ডিবি বলছে, সমন্বয়কদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবিতে আনা হয়েছে, তবে গ্রেফতার করা হয়নি।
রোববার (২৮ জুলাই) ওই সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাস্তা করার কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ক্যাপশনে হারুন লিখেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম। কী কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে।শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।’
এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
একদিন পর শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকেও ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
রোববার (২৮ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে কোটা আন্দোলনের যে পাঁচ সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের নিয়ে পরিবারকে দুশ্চিন্তা না করার অনুরোধ।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়েছে, জামায়াত-শিবির চক্রকে যেমন ধরার দায়িত্ব আমাদের আছে, তেমন কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় বলে তাদের সঙ্গে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে এটা জানার পর আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের নিরাপদে নিয়ে আসা।