জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে নতুন আরোপিত আইন আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইনের লঙ্ঘন যেন না করে, এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ২০২৩ সালের বার্ষিক ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর। এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অন্তত ৬০ লাখ বেশি। এই জনসংখ্যা জাপানের মোট জনসংখ্যার সমান।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশই বিদেশে নির্বাসিত শরণার্থী এবং নিজ দেশের মধ্যে বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের তিন-চতুর্থাংশই দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক।
এ বিষয়ে গ্রান্ডি বলেন, অভিবাসীদের এই প্রবাহ শুধু ধনী দেশগুলোরই মাথাব্যথার কারণ নয়। এসময় আফ্রিকায় এই ধরনের সংকটের বিষয়টি তিনি উদাহরণ হিসেবে তোলেন।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন গাজা ও ইউক্রেনে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সুদানে গত বছরের এপ্রিলে প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরুর পর বছরের শেষ দিকে অন্তত ১ কোটি ৮০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অথচ এই বিষয়টি প্রায় সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।
তবে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে জটিল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন।
এসময় সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টির সমালোচনা করেছেন ইউএনএইচসিআর প্রধান। অনেকের কাছে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে এটি রাজনৈতিক কৌশল হলেও এই আইনে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন হতে পারে বলে আশঙ্কা গ্রান্ডির।
তবে সমালোচনার পাশাপাশি প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিরও প্রসংশা করেন তিনি।