ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

এ বছর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও আমি নিজে মাঠে থাকব।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া হটলাইন নম্বর রয়েছে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। এ বছর ছয়টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে।

মেয়র বলেন, বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে হাট বসালে এই তদারকি টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মেয়র আরও বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেই আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করব।

বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবর সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।

মেয়র বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

এছাড়াও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

এ বছর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও আমি নিজে মাঠে থাকব।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া হটলাইন নম্বর রয়েছে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। এ বছর ছয়টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে।

মেয়র বলেন, বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে হাট বসালে এই তদারকি টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মেয়র আরও বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেই আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করব।

বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবর সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।

মেয়র বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

এছাড়াও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।