ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা ফখরুলের

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

 

সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে এটিকে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সংকট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এটা দুঃখজনক যে আমরা নিজেদের দ্বীপে যেতে পারছি না। এই সরকারের কী ব্যর্থতা যে, ওই দ্বীপে গেলে অন্য দেশ থেকে আমাদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।’

শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের গুরুতর বিষয়ে সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যেখানে আমরা বিবৃতি দেব বা এ বিষয়ে কিছু বলব। এই শাসকগোষ্ঠী এতটাই আজ্ঞাবহ যে, মিয়ানমারের মতো দেশ সম্পর্কে তারা কিছু বলতে পারে না। এর মনোভাব কতটা আজ্ঞাবহ হতে পারে?’

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সীমান্তে যখন বাংলাদেশিরা মারা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ যখন অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তখন তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি।

তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে বিপদে পড়েছেন শত শত মানুষ। কিন্তু সরকার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়।’

সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বাকশাল সরকার ৪টি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। যে কারণে সাংবাদিকদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী সংগ্রামের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে জাগ্রত করতে হবে। জনগণকে ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন হবে না। রাতারাতি দু-চারটি বোমা ফাটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।’

দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি এক সংকটময় মুহূর্তে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রভাবশালীদের দুর্নীতি ও অপকর্ম উন্মোচন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা ফখরুলের

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

 

সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে এটিকে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সংকট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এটা দুঃখজনক যে আমরা নিজেদের দ্বীপে যেতে পারছি না। এই সরকারের কী ব্যর্থতা যে, ওই দ্বীপে গেলে অন্য দেশ থেকে আমাদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।’

শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের গুরুতর বিষয়ে সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যেখানে আমরা বিবৃতি দেব বা এ বিষয়ে কিছু বলব। এই শাসকগোষ্ঠী এতটাই আজ্ঞাবহ যে, মিয়ানমারের মতো দেশ সম্পর্কে তারা কিছু বলতে পারে না। এর মনোভাব কতটা আজ্ঞাবহ হতে পারে?’

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সীমান্তে যখন বাংলাদেশিরা মারা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ যখন অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তখন তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি।

তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে বিপদে পড়েছেন শত শত মানুষ। কিন্তু সরকার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়।’

সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বাকশাল সরকার ৪টি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। যে কারণে সাংবাদিকদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী সংগ্রামের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে জাগ্রত করতে হবে। জনগণকে ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন হবে না। রাতারাতি দু-চারটি বোমা ফাটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।’

দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি এক সংকটময় মুহূর্তে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রভাবশালীদের দুর্নীতি ও অপকর্ম উন্মোচন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন।