পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। শুধুমাত্র পাকিস্তানেই নয়, গোটা ক্রিকেট বিশ্বেই তার অসংখ্য ফ্যান-ফলোয়ার রয়েছে। সকলেই আফ্রিদির ‘ধুমধাড়াক্কা’ ব্যাটিং দেখার জন্য আজও অপেক্ষা করে থাকেন। বাংলাদেশেও আফ্রিদির জনপ্রিয়তা অনেক। এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণে এবং বিশাল বিশাল ছক্কা হাঁকানোর কারণেই অনেকেই শাহিদ আফ্রিদিকে ‘বুম বুম আফ্রিদি’ নামেও সম্বোধন করেন।
কিন্তু কিভাবে তার নামের সাথে ‘বুম বুম’ যুক্ত হলো? জনা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তী রবি শাস্ত্রী আফ্রিদিকে এই নামে প্রথম ডাকেন। এই প্রসঙ্গে কয়েক বছর আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন আফ্রিদিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন তিনি বলেন, ‘২০০৫ কিংবা ২০০৬ সালে ভারত সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেখানে আমি দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান করেছিলাম, মাত্র ৪২ বলে। ওই ম্যাচে রবি শাস্ত্রী ধারাভাষ্যকার ছিলেন। তিনিই আমাকে এই নামটা দিয়েছিলেন।’
উল্লেখ্য, আফ্রিদি ৩৯৮টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। এতে মোট ৩৫১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ৯৯টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭৩টি। ২০১৫ সালে শহিদ আফ্রিদি তার ক্যারিয়ারের শেষ একদিনের ম্যাচটা খেলেছিলেন। ম্যাচটি অ্যাডিলেডে আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। কয়েক বছর আগে তাকে একটি প্রীতি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আইসিসি বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল।
ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান চোট পাওয়ার কারণে বিশ্ব একাদশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। যদিও এই ম্যাচে আফ্রিদি খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। তিনি মাত্র একটাই উইকেট শিকার করতে পেরেছিলেন। পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছিলেন মাত্র ১১ রান।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে আফ্রিদি গোটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছেই যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফ্রিদি ১১,১৯৬ রান করার পাশাপাশি ৫৪১টি উইকেটও শিকার করেছেন।