ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের ফিরে আসছে তাপপ্রবাহ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

এ বছর পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় চলেছে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিলে মাসে দুই থেকে তিনটি তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও এ বছর তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হবে বলে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। হয়েছেও তাই।

তবে শুধু এপ্রিল নয়, এ বছর মে মাসেও তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। এমনকি এ বছর বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এপ্রিল মাসের প্রচণ্ড গরমের পর মে মাসের শুরু থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির ফলে নেমে এসেছে স্বস্তি। তবে সে স্বস্তিও বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, মে মাসের মাঝামাঝি আবার আসছে অস্বস্তিকর গরম।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার (১২ মে) এবং শনিবার দেশের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়তে শুরু করবে মঙ্গলবারের পর থেকে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপরই বাড়বে তাপমাত্রা। ১৫ তারিখ থেকে বইতে শুরু হবে তাপপ্রবাহ।

তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহের যে তীব্রতা দেখা গেছে, মে মাসের তাপপ্রবাহের তীব্রতা ততটা হবে না। মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে যে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে সেটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি হতে পারে।

আওহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, বজ্র-ঝড়ের তীব্রতা কমে গেলেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহ মৃদু তাপপ্রবাহই হবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২০ তারিখের পরে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত, সেই সঙ্গে হতে পারে কালবৈশাখী ঝড়ও। জুনে বর্ষাকাল শুরুর আগ পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।

এদিকে শনিবার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রবিবার রংপুর, রাজশাহী ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’য়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পাতে পারে।

 

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

২ দিনে সারাদেশে ২৫টি স্থানে সহিংসতায় আগুনের ঘটনা

ফের ফিরে আসছে তাপপ্রবাহ

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

এ বছর পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় চলেছে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিলে মাসে দুই থেকে তিনটি তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও এ বছর তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হবে বলে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। হয়েছেও তাই।

তবে শুধু এপ্রিল নয়, এ বছর মে মাসেও তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। এমনকি এ বছর বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এপ্রিল মাসের প্রচণ্ড গরমের পর মে মাসের শুরু থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির ফলে নেমে এসেছে স্বস্তি। তবে সে স্বস্তিও বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, মে মাসের মাঝামাঝি আবার আসছে অস্বস্তিকর গরম।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার (১২ মে) এবং শনিবার দেশের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়তে শুরু করবে মঙ্গলবারের পর থেকে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপরই বাড়বে তাপমাত্রা। ১৫ তারিখ থেকে বইতে শুরু হবে তাপপ্রবাহ।

তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহের যে তীব্রতা দেখা গেছে, মে মাসের তাপপ্রবাহের তীব্রতা ততটা হবে না। মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে যে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে সেটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি হতে পারে।

আওহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, বজ্র-ঝড়ের তীব্রতা কমে গেলেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহ মৃদু তাপপ্রবাহই হবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২০ তারিখের পরে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত, সেই সঙ্গে হতে পারে কালবৈশাখী ঝড়ও। জুনে বর্ষাকাল শুরুর আগ পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।

এদিকে শনিবার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রবিবার রংপুর, রাজশাহী ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’য়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পাতে পারে।