স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসে গত আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে একেবারেই উঠিয়ে দিয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষার তেমন কোনো ব্যবস্থা রাখেনি। বরং সেখানে জাতিকে ধ্বংস করার একটি নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষা বিবর্জিত এ শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক তৈরি করতে না পারার কারণেই বর্তমানে দেশে সৎ মন্ত্রী, সৎ সচিব এমনকি সৎ অফিসার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে এক মতবিনিময় সভায় পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানের শিক্ষা বিষয়ক ১৭নং অনুচ্ছেদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক ২৩নং অনুচ্ছেদ সংশোধনের দাবি জানান।
উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা দাওয়াতুল হক মাদ্রাসায় আয়োজিত এ মতমিনিময় সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সহস্রাধিক কওমি আলেমরা অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন- কওমি শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশেকে মুস্তফা, মহাসচিব মুস্তাকিন বিল্লাহ হাবিবী, যগ্ম মহাসচিব মুফতি দীন মোহাম্মদ আশরাফ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাক মুফতি নজরুল ইসলাম, উপদেষ্টা মাওলানা আতাউল হক প্রমুখ।
বক্তারা মুসলিম জাতির ধর্মীয় ধর্মীয় শিক্ষার অধিকার সংরক্ষণে বাংলাদেশের সংবিধানের শিক্ষা বিষয়ক ১৭নং অনুচ্ছেদ সংশোধনপূর্বক ইসলামী শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা এবং জাতীয় সংস্কৃতি বিষয়ক ২৩নং অনুচ্ছেদ সংশোধনপূর্বক ইসলামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।