ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কমিউনিটি ব্যাংকের কর্মচারীদের মানববন্ধন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:২০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সকল অস্থায়ী কর্মচারীরা।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে অস্থায়ী কর্মচারীরা বলেন, ‘ব্যাংকের CSE (Customer Service Executive) ও CCE (Contact Center Executive) পদে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায়, শাখায় ও হেড অফিসে CSE ও CCE পদে দীর্ঘ চার বছরের অধিক সময় ধরে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ব্যাংক থেকে প্রতিশ্রুতি থাকলেও বিগত কয়েক বছর যাবত তাদের চাকুরি স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে নানা ধরণের নাটকীয় কর্মকাণ্ডের ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে তাদের বেশিরভাগ CSE ও CCE-দের বয়স ৩০-৩২ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়ায় তারা অন্যত্র চাকরির কোন সুযোগ পাচ্ছেননা। এছাড়া আইনের কাঠামো অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচুইয়িটি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই তাদের এক দফা যেকোনো মূল্যে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। তা-না হলে তারা লাগাতার এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারী দেন।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘ব্যাংকটি গঠনের সময় থেকে অদ্যবধি বিভিন্ন ডিভিশন ও জেলায় কর্মরত রয়েছেন এবং তারা ব্যাংকের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি করোনার সময়ে তাদের সেবা বন্ধ ছিলো না। এছাড়া ব্যাংকটি আজকের এই সফল পর্যায়ে আসার পিছনে তাদের সকল CSE ও CCE-দের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সকল জেলাতে ব্যাংকের শাখা নেই এবং একটি শাখায় কমপক্ষে ০৭/০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করে থাকেন, সেখানে প্রত্যেকটি জেলায় উল্লেখিত ০৭-০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবর্তে মাত্র এক জন CSE কোন প্রকার অফিস ডিভাইস ব্যতিত শুধুমাত্র নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সকল পুলিশ সদস্যদের সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলার সাথে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন এবং প্রতি মাসে ব্যাংকের বিজনেসের (এফডিআর, ডিপিএস, লোন, ক্রেডিট কার্ড নতুন একাউন্ট ওপেন সহ) জন্যও অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলছেন। তবুও তাদের সবসময় অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ম্যানেজমেন্ট তাদের স্থায়ী না করে অন্য ব্যাংক থেকে লোক এনে স্থায়ী পদে বসাচ্ছে।’

তাদের সাথে ব্যাংকটি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, ‘তাদের মতো মাস্টার্স কমপ্লিট করা ছেলে-মেয়েদেরকে চার বছরের অধিক সময় যাবত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ রাখাকে তাদের সাথে ব্যাপক বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করা হচ্ছে। এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে তারা ব্যাপক হীনমন্যতায় ভুগছেন।’

এসময় ব্যাংকটির কয়েকশ অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক সিএসই (কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ) ও সিসিই’রা (কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ) উপস্থিত ছিলেন।

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বাংলাদেশের একটি তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫৯তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে। তাদের পরিচালনা পর্ষদে র‌্যাব সদস্যরাও আছে। বর্তমানে ব্যাংকটি ১৮টি শাখা ও কয়েকটি উপশাখা ৬৪ জেলাসহ সারাদেশে ১০৮টি সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ঢাকার গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে অবস্থিত।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কমিউনিটি ব্যাংকের কর্মচারীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০১:২০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সকল অস্থায়ী কর্মচারীরা।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে অস্থায়ী কর্মচারীরা বলেন, ‘ব্যাংকের CSE (Customer Service Executive) ও CCE (Contact Center Executive) পদে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায়, শাখায় ও হেড অফিসে CSE ও CCE পদে দীর্ঘ চার বছরের অধিক সময় ধরে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ব্যাংক থেকে প্রতিশ্রুতি থাকলেও বিগত কয়েক বছর যাবত তাদের চাকুরি স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে নানা ধরণের নাটকীয় কর্মকাণ্ডের ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে তাদের বেশিরভাগ CSE ও CCE-দের বয়স ৩০-৩২ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়ায় তারা অন্যত্র চাকরির কোন সুযোগ পাচ্ছেননা। এছাড়া আইনের কাঠামো অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচুইয়িটি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই তাদের এক দফা যেকোনো মূল্যে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। তা-না হলে তারা লাগাতার এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারী দেন।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘ব্যাংকটি গঠনের সময় থেকে অদ্যবধি বিভিন্ন ডিভিশন ও জেলায় কর্মরত রয়েছেন এবং তারা ব্যাংকের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি করোনার সময়ে তাদের সেবা বন্ধ ছিলো না। এছাড়া ব্যাংকটি আজকের এই সফল পর্যায়ে আসার পিছনে তাদের সকল CSE ও CCE-দের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সকল জেলাতে ব্যাংকের শাখা নেই এবং একটি শাখায় কমপক্ষে ০৭/০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করে থাকেন, সেখানে প্রত্যেকটি জেলায় উল্লেখিত ০৭-০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবর্তে মাত্র এক জন CSE কোন প্রকার অফিস ডিভাইস ব্যতিত শুধুমাত্র নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সকল পুলিশ সদস্যদের সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলার সাথে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন এবং প্রতি মাসে ব্যাংকের বিজনেসের (এফডিআর, ডিপিএস, লোন, ক্রেডিট কার্ড নতুন একাউন্ট ওপেন সহ) জন্যও অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলছেন। তবুও তাদের সবসময় অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ম্যানেজমেন্ট তাদের স্থায়ী না করে অন্য ব্যাংক থেকে লোক এনে স্থায়ী পদে বসাচ্ছে।’

তাদের সাথে ব্যাংকটি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, ‘তাদের মতো মাস্টার্স কমপ্লিট করা ছেলে-মেয়েদেরকে চার বছরের অধিক সময় যাবত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ রাখাকে তাদের সাথে ব্যাপক বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করা হচ্ছে। এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে তারা ব্যাপক হীনমন্যতায় ভুগছেন।’

এসময় ব্যাংকটির কয়েকশ অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক সিএসই (কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ) ও সিসিই’রা (কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ) উপস্থিত ছিলেন।

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বাংলাদেশের একটি তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫৯তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে। তাদের পরিচালনা পর্ষদে র‌্যাব সদস্যরাও আছে। বর্তমানে ব্যাংকটি ১৮টি শাখা ও কয়েকটি উপশাখা ৬৪ জেলাসহ সারাদেশে ১০৮টি সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ঢাকার গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে অবস্থিত।