বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,
বিএনপিকে জনগনের মন থেকে মুছে ফেলার যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা
কখনোই সফল হবে না। বরং আপনারা আপনাদের কৃতকর্মেও জন্য মুছে
যাবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন মাফিয়াদের হাতে। সংসদে কোন
রাজনীতিক নেই, প্রশাসনেও মাফিয়া। লুটেরা মাফিয়া চক্রের প্রধান
শেখ হাসিনা। এই চক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বুধবার
বিকেলে যশোর টাউন হল মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিশাল
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে
আয়োজিত সমাবেশে তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে
আটকে করা হয়েছে শুধুমাত্র ভারতকে সন্তষ্ট করার জন্য। ভারতের সঙ্গে তাদের
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের ফসল হচ্ছে আজিজ-বেনজীর।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার উন্নয়নের নামে ব্যপক দুর্নীতি করছে। আর
দুর্নীতির ভার টানতে হচ্ছে জনগণকে ভর্তুকির মাধ্যমে। আর ওই
ভর্তুকি হচ্ছে ভৌতিক বিল। যা আপনাকে আমাকে টানতে হচ্ছে।
সরকারি কর্মচারিদের ঔদ্ধত্যর বিষয়ে গয়েশ্বও চন্দ্র রায় বলেন, আমরা
জানতাম, সরকারি কর্মচারীরা আমাদের সেবক, কিন্তু আমরা এখন তাদের
সেবকে পরিণত হয়েছি। কোন কিছু হলে তারা বলেন, কোন কিছু হলে
বড় স্যাররা আমাদের চাকরি খেয়ে ফেলবে। আমাদের করার কিছু নেই। আর
আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের চাকরি টিকিয়ে রাখা।
তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছি।
খালেদা জিয়ার অপর নাম গণতন্ত্র। উনি মুক্তি পারলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
তিনি মুক্ত হলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ হবে। ব্রিটিশ কলোনী,
পাকিস্থানের শোষণ কোন কিছুই আমরা মানিনি, যুদ্ধ করেছি। ভারত
এদেশকে কলোনী হিসেবে ব্যবহার করবে-আমরা তা হতে দেব না। আমাদের
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে অথর্ব কওর রাখা হয়েছে। যেভাবে রেখেছে তার
চেয়ে গ্রাম্য চৌকিদারও অনেক ভালো। তাদের গুলি ফোটানোর অধিকার
নেই। অথচ আমরা নিয়মিত অস্ত্র গুলি কিনছি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা
হয়েছে। তার মুক্তির পর যে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে তাতে আওয়ামীলীগ
দুইটি আসন পাবে। শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জ আসনে জনগণ
পরাজিত করবে। কেননা জনগণ আমাদের সাথেই আছে। আজকের এই
বৈরী আবহাওয়ায় জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার সবাইকে চোর বাটপারে পরিণত করেছে।
সেনাবাহিনী, সরকারি চাকরিজীবী সবাই চোর। ফলে এই চোরদের
জনগণ আর চায়না। ফলে যখন ডাক আসবে তখন সবাইকে ঝাঁপিয়ে
পড়তে হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এড. নিতাই রায়
চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগাঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য
ইসলাম অমিত, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জেলা
বিএনপির সদস্য সচিব এড. সাবেরুল হক সাবু বক্তব্য রাখেন।
আবুল কালাম আজাদ