ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে অল্প বৃষ্টিতেই বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে থৈ থৈ পানি

অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ যেন হয়ে যায় পুকুর। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থাও। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
বলছিলাম ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার। এদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।
যান যায়, ১৯০৪ সালে স্থাপিত হয় ঠাকুরগাঁওয়ের সনামধন্য “সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়” স্কুলটি। যে বিদ্যালয় থেকে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক অনেক মেধাবিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তবে স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়ে বর্তমান মাঠের অবস্থা বেহাল।
স্কুল গিয়ে বাঁচ্চা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা করার কথা থাকলেও জলাবদ্ধতায় তা যেন নিরব। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জেলার সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপিঠের সামনের মাঠ দেখতে অনেকটা পুকুরের মতোই মনে হচ্ছে।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে থৈ থৈ পানি। দূর থেকে দেখে পুকুর বলে মনে হয়। জলাবদ্ধ সেই পানিতে শিক্ষার্থীরা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসাচ্ছে। অনেকে আবার বাসকেটবল খেলার স্থানে ফুটবল খেললেও যখন তখন ফুটবলটি নোংড়া পানিতে পড়ছে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চয়নমরতন,সালমান মুজাহিদ বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই মাঠ তলিয়ে একাকার হয়ে পড়ে। যার ফলে আমাদের খেলাধুলা ও চলাফেরার ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের কাপড় কাঁদা লাগে যায়।
জয়নাল ও মোস্তাফা নামের দুইজন অভিভাবক বলেন,বর্তমান বর্ষ সময়,যখন তখন বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই এই বিদ্যালয়ের মাঠটা পুকুরের মতো হয়ে যায়। এটা আজ নতুন তা নয় আগেও এটা দেখেছি। এভাবে পানি জলাবদ্ধ হয়ে থাকলে তো বাঁচ্চাদের জন্য সমস্যা। তাই দ্রæত সময়ে এই সমস্যার সমাধানের জোড় দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক(ডে শিফ্ট) জুয়েল আলম বলেন,পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ চলমান রেখেছে। এটা শুধু ছাত্রদের সমস্যা নয় আমাদের সকলের সমস্যা। আশা করছি এক দুইদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে
ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দর বিশ্ব গড়তে তারুণ্যে বিনিয়োগ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি ড. ইউনূস

ঠাকুরগাঁওয়ে অল্প বৃষ্টিতেই বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে থৈ থৈ পানি

আপডেট সময় : ০৭:০৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ যেন হয়ে যায় পুকুর। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থাও। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
বলছিলাম ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার। এদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।
যান যায়, ১৯০৪ সালে স্থাপিত হয় ঠাকুরগাঁওয়ের সনামধন্য “সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়” স্কুলটি। যে বিদ্যালয় থেকে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক অনেক মেধাবিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তবে স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়ে বর্তমান মাঠের অবস্থা বেহাল।
স্কুল গিয়ে বাঁচ্চা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা করার কথা থাকলেও জলাবদ্ধতায় তা যেন নিরব। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জেলার সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপিঠের সামনের মাঠ দেখতে অনেকটা পুকুরের মতোই মনে হচ্ছে।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে থৈ থৈ পানি। দূর থেকে দেখে পুকুর বলে মনে হয়। জলাবদ্ধ সেই পানিতে শিক্ষার্থীরা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসাচ্ছে। অনেকে আবার বাসকেটবল খেলার স্থানে ফুটবল খেললেও যখন তখন ফুটবলটি নোংড়া পানিতে পড়ছে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চয়নমরতন,সালমান মুজাহিদ বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই মাঠ তলিয়ে একাকার হয়ে পড়ে। যার ফলে আমাদের খেলাধুলা ও চলাফেরার ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের কাপড় কাঁদা লাগে যায়।
জয়নাল ও মোস্তাফা নামের দুইজন অভিভাবক বলেন,বর্তমান বর্ষ সময়,যখন তখন বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই এই বিদ্যালয়ের মাঠটা পুকুরের মতো হয়ে যায়। এটা আজ নতুন তা নয় আগেও এটা দেখেছি। এভাবে পানি জলাবদ্ধ হয়ে থাকলে তো বাঁচ্চাদের জন্য সমস্যা। তাই দ্রæত সময়ে এই সমস্যার সমাধানের জোড় দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক(ডে শিফ্ট) জুয়েল আলম বলেন,পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ চলমান রেখেছে। এটা শুধু ছাত্রদের সমস্যা নয় আমাদের সকলের সমস্যা। আশা করছি এক দুইদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে