ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ

জেলা ক্রীড়া অফিস সাতক্ষীরার
আয়োজনে বুধবার  (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামের হলরুমে
সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ন সচিব), আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহীন, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মো. আব্দুল মান্নান, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, সাঁতার প্রশিক্ষক জাতীয় সাঁতারু শেখ শফিউল বারী, ক্রীড়াবিদ খাদিজা আক্তার চায়নাসহ অনেকে।
গত ১৪ মে ২০২৪ তারিখ হতে গত ১৩ জুন ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত মাসব্যাপী এ সাঁতার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সাঁতার প্রশিক্ষণে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়।
প্রধান অতিথি ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ক্রীড়াবান্ধব সরকার। সরকার ক্রীড়ার মানোন্নয়নের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। সরকারের নানাবিধ পরিকল্পনা ক্রীড়া পরিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে।
ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক দেশব্যাপী বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন, বিনা মূল্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া
হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সাঁতার প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই
নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকতার সাথে ও নিষ্ঠার সাথে কঠোর পরিশ্রম করছি। আজকের এই সাঁতার প্রশিক্ষণ তারই অংশ। এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, তাই সাঁতার শেখা খুবই জরুরি। ক্রীড়া পরিদপ্তরের আওতাধীন জেলা ক্রীড়া অফিসের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির মাধ্যমে
জেলা পর্যায়ে শিশুদের সাঁতার শেখানো, সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই সাঁতার প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত প্রতিভাবান সাঁতারুদেরকে আবাসিক উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলাই ক্রীড়া পরিদপ্তরের মূল লক্ষ্য’। তিনি বলেন, ‘সাঁতার শিখি, জীবন বাঁচাই। সাঁতার এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম। নিয়মিত সাঁতার
কাটলে একজন ব্যক্তির ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন সাঁতারুর মৃত্যুর আশঙ্কা কর্মহীন ব্যক্তির অর্ধেক। সপ্তাহে কেউ যদি আড়াই ঘণ্টা করেও নিয়মিত সাঁতার কাটে, তাহলে তার ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাধির ঝুঁকি কম থাকে। জীবন বাঁচাতেও সাঁতারের বিশেষ অবদান রয়েছে’।
অনুষ্ঠানে এ সময় জেলা ক্রীড়া অফিসের কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, বিভিন্ন ক্লাব প্রতিনিধি ও সাঁতারুরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন
oplus_0

oplus_0

জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির  সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সালথায় বিএনপির ব্যানারে আওয়ামী লীগ নেতাদের হিড়িক

সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
জেলা ক্রীড়া অফিস সাতক্ষীরার
আয়োজনে বুধবার  (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামের হলরুমে
সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ন সচিব), আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহীন, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মো. আব্দুল মান্নান, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, সাঁতার প্রশিক্ষক জাতীয় সাঁতারু শেখ শফিউল বারী, ক্রীড়াবিদ খাদিজা আক্তার চায়নাসহ অনেকে।
গত ১৪ মে ২০২৪ তারিখ হতে গত ১৩ জুন ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত মাসব্যাপী এ সাঁতার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সাঁতার প্রশিক্ষণে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়।
প্রধান অতিথি ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ক্রীড়াবান্ধব সরকার। সরকার ক্রীড়ার মানোন্নয়নের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। সরকারের নানাবিধ পরিকল্পনা ক্রীড়া পরিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে।
ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক দেশব্যাপী বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন, বিনা মূল্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া
হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সাঁতার প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই
নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকতার সাথে ও নিষ্ঠার সাথে কঠোর পরিশ্রম করছি। আজকের এই সাঁতার প্রশিক্ষণ তারই অংশ। এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, তাই সাঁতার শেখা খুবই জরুরি। ক্রীড়া পরিদপ্তরের আওতাধীন জেলা ক্রীড়া অফিসের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির মাধ্যমে
জেলা পর্যায়ে শিশুদের সাঁতার শেখানো, সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই সাঁতার প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত প্রতিভাবান সাঁতারুদেরকে আবাসিক উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলাই ক্রীড়া পরিদপ্তরের মূল লক্ষ্য’। তিনি বলেন, ‘সাঁতার শিখি, জীবন বাঁচাই। সাঁতার এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম। নিয়মিত সাঁতার
কাটলে একজন ব্যক্তির ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন সাঁতারুর মৃত্যুর আশঙ্কা কর্মহীন ব্যক্তির অর্ধেক। সপ্তাহে কেউ যদি আড়াই ঘণ্টা করেও নিয়মিত সাঁতার কাটে, তাহলে তার ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাধির ঝুঁকি কম থাকে। জীবন বাঁচাতেও সাঁতারের বিশেষ অবদান রয়েছে’।
অনুষ্ঠানে এ সময় জেলা ক্রীড়া অফিসের কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, বিভিন্ন ক্লাব প্রতিনিধি ও সাঁতারুরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন
oplus_0

oplus_0

জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির  সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স।