আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশকে বিদেশের ওপর ‘নির্ভর’ করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেখুন তারা (সরকার) কীভাবে নিজেদের স্বার্থে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা দেশকে অন্যের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। তাদের বক্তব্য থেকেই সবকিছু স্পষ্ট হচ্ছে।’
আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বিদেশিদের দোহাই দিয়ে সরকার অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা একটি আত্মনির্ভরশীল জাতিকে পরনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত করেছে।’
বিএনপির আমলের ছোট আকারের বাজেট থেকে বাড়িয়ে বড় করার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে ভালোবাসে বলেই ঋণের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়নি। জনগণের ওপর এখন ঋণের বিশাল বোঝা চাপানো হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি ১.৫৫ লাখ টাকা ঋণের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। মাথাপিছু এই পরিমাণ ঋণ কত বোঝা তা কল্পনা করতে পারেন?’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা নিরসনে বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো ব্যবস্থা নেই এবং উৎপাদন বাড়াতে পারে- এমন সব আমদানি করা পণ্য ও যন্ত্রপাতির ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। তাহলে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে- প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের শরীরে চুরি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস আছে।
তিনি বলেন, ‘এখন আপনারা দেখছেন কীভাবে চুরি ও দুর্নীতি হচ্ছে। সে সময় তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় অনেক চুরি হয়েছিল।’
তিনি দুঃখ করে বলেন, বর্তমান সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করেছে। ‘তারা সব সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে। তারা মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ নষ্ট করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, রাজনীতিকরণ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্যের কারণে পক্ষপাতদুষ্ট শিক্ষক নিয়োগের ফলে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশ মানসম্পন্ন নেতা পাচ্ছে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ব্যবস্থা করেছে যাতে কোনো জায়গায় নেতৃত্ব তৈরি না হয়। ‘যেখানে ছাত্র সংসদ, ডাকসু বা অন্য কোনো সংগঠনের নির্বাচন নেই, সেখানে নেতৃত্ব তৈরি হবে কীভাবে?’