ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন শুক্রবার কোপেনহেগেন স্কোয়ারে ‘হামলার’ শিকার হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা এক ব্যক্তি ফ্রেডেরিকসেনের কাঁধে সজোরে ‘ধাক্কা’ দেয়।
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ইইউ প্রধানরা দ্রুত এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ফ্রেডেরিকসেন এই ‘ঘটনায় হতবাক’ হয়েছেন। তবে কার্যালয় এ বিষয় বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন শুক্রবার সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের কুলটোরভেটে একজন ব্যক্তির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এই সপ্তাহের ইইউ নির্বাচনের আগে জার্মানিতে কর্মক্ষেত্রে বা প্রচারণার পথে রাজনীতিবিদদের উপর একের পর এক আক্রমণের ঘটনার পরে এই ঘটনাটি ঘটে।
১৫ মে স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো কেন্দ্রী শহর হ্যান্ডলোভাতে একটি সরকারী বৈঠকের পরে সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানানোর সময় তাকে লক্ষ্য করে চারবার গুলি চালানো হয়।
ফিকো গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাকে গুলি করার পর নিকটবর্তী শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে তার দুটি দীর্ঘ অস্ত্রোপচার করা হয়।
ফ্রেডেরিকসেনের ওপর হামলার দুই প্রত্যক্ষদর্শী, ম্যারি অ্যাড্রিয়ান এবং আনা রাভন সংবাদপত্র বিটিকে বলেছেন, তারা ফ্রেডারিকসেনকে স্কোয়ারে আসতে দেখেছেন যখন তারা সন্ধ্যা ৬:০০ (১৬০০জিএমটি) আগে কাছাকাছি একটি ঝর্ণার কাছে বসে ছিলেন।
দুই মহিলা সংবাদপত্রকে বলেন, ‘একজন লোক বিপরীত দিক দিয়ে এসে তার কাঁধে একটি শক্ত ধাক্কা দেয়, যার ফলে সে পাশে পড়ে যায়।’ তারা বলেন, এটি একটি ‘জোরালো ধাক্কা’ হলেও ফ্রেডেরিকসেন মাটিতে পড়ে যাননি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রধানমন্ত্রী তখন কাছাকাছি একটি ক্যাফেতে বসেন।
তারা হামলাকারী লোকটিকে লম্বা এবং পাতলা হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং বলেছে যে, সে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু নিরাপত্তা সদস্যরা তাকে ধরে ফেলে।
ইইউ প্রধান চার্লস মিশেল এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টতা মেটসোলা শুক্রবার ফ্রেডরিকসেনের উপর হামলার নিন্দা করেছেন।
মেটসোলা ডেনমার্কের সরকার প্রধানকে ‘শক্ত থাকার’ আহ্বান জানিয়ে এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন,‘রাজনীতিতে সহিংসতার কোন স্থান নেই’। চার্লস মিশেল ‘হামলার জন্য ক্ষুব্ধ’ প্রতিক্রিয়া জানান।
ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে ‘ঘৃণ্য কাজ যা আমরা বিশ্বাস করি এবং ইউরোপে লড়াই করি তার বিরুদ্ধে যায়’ বলে অভিহিত করে এর নিন্দা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে জড়িত ঘটনা কোপেনহেগেন পুলিশ নিশ্চিত করেছে, তবে বিশদ বিবরণ দেয়নি।
পুলিশ এক্স-এর একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের এই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা আমরা এখন তদন্ত করছি। এই সময়ে, এই মামলার বিষয়ে আমাদের আর কোনো মন্তব্য নেই।’