ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদির ম্যাজিক শেষ, পদত্যাগ করা উচিত

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। আভাস মিলছে- এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

বিজেপি এবার এককভাবে ৩৭০ আসন এবং এনডিএ জোটের জন্য ৪০০ আসনের লক্ষ্য র্নিধারণ করেছিল। কিন্তু ভোটের চিত্রে দেখা গেছে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনি ফলের বিপরীতে গিয়ে এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন পাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে অভিনন্দন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মোদি তোমার ভোট অন্য কোথাও যায়নি। তোমার ম্যাজিক শেষ। তোমাকে পদত্যাগ করতে হবে।”

মমতা বলেন, “আমি খুশি নরেন্দ্র মোদি হেরেছেন। মানুষ ওনাকে জবাব দিয়েছে। তার অবিলম্বে উচিত পদত্যাগ করা।”

তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি কয়েকটা বড় আসন আটকে রেখেছেন, যেহেতু উনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ভারতবর্ষের জনগণকে তাই আমার ধন্যবাদ যে, তারা মোদির দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বেছে নেননি। বাংলার মানুষকেও আমরা ধন্যবাদ দেব যে তারা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে আমাদের বেছে নিয়েছেন। আমাদের ভোটের সংখ্যা বেড়েছে। যেখানে হেরেছে খুব অল্প ভোটে হেরেছে। জোর করে হারানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, “পর্যবেক্ষকরা যদি রাজনীতি করেন, তবে আমরা দুঃখিত। কিন্তু আমি জানি আমাদের আসন বাড়ত। আরও কয়েকটি আসন আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। দরকার হলে কিছু আসনে পুনর্গণনাও হবে। তমলুকে আপনারা দেখেছেন, ওটা ভোট নয়। কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকরা রাজনীতি করেছে। বিজেপি অবজার্ভার দেখে দেখে এ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে কাজেই লাগানো হয়নি।”

মমতার অভিযোগ, “সবচেয়ে অত্যাচার বাংলার ওপরে হয়েছে। একদিকে, ইডি-সিবিআইয়ের অত্যাচার। একদিকে আয়কর বিভাগের অত্যাচার, বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অত্যাচার হয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি ছেড়ে দেব না। রাজনৈতিক বদলা নেব। দরকারে পুনর্গণনা হবে।’’

মমতা বলেন, “মোদী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে অত্যাচার করত। যত খুশি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। রাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এজেন্সির রাজনীতি করেছে। এবার ওরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এবার কি আমরা ছেড়ে দেব? আশা করি ইন্ডিয়ার সদস্যরাও ছেড়ে দেবে না। বরং আমাদের টিম বাড়বে। কমবে না।”

মমতা আরও বলেন, “যারা বুথফেরত সমীক্ষা করেছিলেন, তারা অনেকের মনোবল ভেঙে দিয়েছিলেন। ওই রিপোর্ট কোথা থেকে হয়েছিল জানি। আমি নিশ্চিত বিজেপির দপ্তর থেকে মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই ওই রিপোর্ট তৈরি করেছিল।”

তিনি বলেন, ‘‘এই জয় মানুষের জয়, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র জয়। আমি আমার সমস্ত ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গীদের সমর্থন জানাচ্ছি। যারা আছেন। যারা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান। তাদের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা।”

মমতা বলেন, “রাহুলকেও অভিনন্দন জানিয়েছি, কিন্তু ওরা এখনও জবাব দেয়নি। সে ওরা যা করে করুক। যোগাযোগ না করলে কোনো অসুবিধা নেই।”

এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে বিজেপি এককভাবে এগিয়ে আছে ২৪১ আসনে। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট “ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স” (এনডিএ) এগিয়ে ২৯৬ আসনে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে ২২৮ আসনে। কংগ্রেস এককভাবে এগিয়ে ১০০ আসনে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই

মোদির ম্যাজিক শেষ, পদত্যাগ করা উচিত

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

 

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। আভাস মিলছে- এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

বিজেপি এবার এককভাবে ৩৭০ আসন এবং এনডিএ জোটের জন্য ৪০০ আসনের লক্ষ্য র্নিধারণ করেছিল। কিন্তু ভোটের চিত্রে দেখা গেছে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনি ফলের বিপরীতে গিয়ে এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন পাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে অভিনন্দন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মোদি তোমার ভোট অন্য কোথাও যায়নি। তোমার ম্যাজিক শেষ। তোমাকে পদত্যাগ করতে হবে।”

মমতা বলেন, “আমি খুশি নরেন্দ্র মোদি হেরেছেন। মানুষ ওনাকে জবাব দিয়েছে। তার অবিলম্বে উচিত পদত্যাগ করা।”

তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি কয়েকটা বড় আসন আটকে রেখেছেন, যেহেতু উনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ভারতবর্ষের জনগণকে তাই আমার ধন্যবাদ যে, তারা মোদির দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বেছে নেননি। বাংলার মানুষকেও আমরা ধন্যবাদ দেব যে তারা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে আমাদের বেছে নিয়েছেন। আমাদের ভোটের সংখ্যা বেড়েছে। যেখানে হেরেছে খুব অল্প ভোটে হেরেছে। জোর করে হারানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, “পর্যবেক্ষকরা যদি রাজনীতি করেন, তবে আমরা দুঃখিত। কিন্তু আমি জানি আমাদের আসন বাড়ত। আরও কয়েকটি আসন আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। দরকার হলে কিছু আসনে পুনর্গণনাও হবে। তমলুকে আপনারা দেখেছেন, ওটা ভোট নয়। কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকরা রাজনীতি করেছে। বিজেপি অবজার্ভার দেখে দেখে এ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে কাজেই লাগানো হয়নি।”

মমতার অভিযোগ, “সবচেয়ে অত্যাচার বাংলার ওপরে হয়েছে। একদিকে, ইডি-সিবিআইয়ের অত্যাচার। একদিকে আয়কর বিভাগের অত্যাচার, বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অত্যাচার হয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি ছেড়ে দেব না। রাজনৈতিক বদলা নেব। দরকারে পুনর্গণনা হবে।’’

মমতা বলেন, “মোদী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে অত্যাচার করত। যত খুশি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। রাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এজেন্সির রাজনীতি করেছে। এবার ওরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এবার কি আমরা ছেড়ে দেব? আশা করি ইন্ডিয়ার সদস্যরাও ছেড়ে দেবে না। বরং আমাদের টিম বাড়বে। কমবে না।”

মমতা আরও বলেন, “যারা বুথফেরত সমীক্ষা করেছিলেন, তারা অনেকের মনোবল ভেঙে দিয়েছিলেন। ওই রিপোর্ট কোথা থেকে হয়েছিল জানি। আমি নিশ্চিত বিজেপির দপ্তর থেকে মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই ওই রিপোর্ট তৈরি করেছিল।”

তিনি বলেন, ‘‘এই জয় মানুষের জয়, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র জয়। আমি আমার সমস্ত ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গীদের সমর্থন জানাচ্ছি। যারা আছেন। যারা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান। তাদের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা।”

মমতা বলেন, “রাহুলকেও অভিনন্দন জানিয়েছি, কিন্তু ওরা এখনও জবাব দেয়নি। সে ওরা যা করে করুক। যোগাযোগ না করলে কোনো অসুবিধা নেই।”

এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে বিজেপি এককভাবে এগিয়ে আছে ২৪১ আসনে। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট “ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স” (এনডিএ) এগিয়ে ২৯৬ আসনে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে ২২৮ আসনে। কংগ্রেস এককভাবে এগিয়ে ১০০ আসনে।