হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছিলেন। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। বের হওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন মামলার আলামত হিসেবে মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজকে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি ফিরে পেতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
তবে মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়েছেন কি-না এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে হেফাজতের এই নেতা উত্তর না দিয়ে প্রাইভেটকারে ডিবি কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এর আগে বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক। এরপর ডিবি অফিসেই মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে প্রতিবাদ করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক। গত ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।